আমাদের ফেসবুক পেজে জয়েন করুন http://www.facebook.com/vhalobashar.golpo

রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১২

“এক অজানা ভালবাসা”



এক অজানা ভালবাসা
মোঃমাসুদ রানা

এই রিফাত দোস্ত একটা নাম্বার দে না।দোস্ত তুই না আমার দোস্ত আমার এই হাল দেখে কি তোর একটু মায়া হয় না।তুই যখন তোর বউরে নিয়ে আমার সামনে দিয়া লাইন মারস আমার কি একটু খারাপ লাগে না।আমারো তো মন চাই তোর মত একটা গার্লফ্রেন্ড আমার থাকবে।আমাকে অনেক ভালবাসবে। অনেক জোরা-জোরি করার পর রিফাত আমাকে তার বেস্ট ফ্রেন্ড ইমা এর নাম্বার দিল। ইমা সম্পর্কে প্রথমে এতটা জানতাম ন।সে যাই হোক নাম্বার পেয়েছি মনে হচ্ছে আলাদিনের একটা প্রদিপ পেয়েছি।সাথে সাথে নিচে চলে গেলাম রির্চাজ করব বলে।১০০ টাকা রির্চাজ করেছি অনেকক্ষন কথা বলব।ফোন দিয়ে কি বলব আগে তো এমন কারও সাথে আগে তো কথা বলিনি।তো রাতে কল দিব ভাবলাম।সন্ধ্যা ৭ টা বেজে গেছে এসব ভাবতে ভাবতে।রিফাত যদি জানতে পারে এখনো কল দেইয়নি।আমার পেইসটিজ এর ১২x১২=২৪ টা বাজাবে।তো ৮ টায় কল দিলাম।
ঐ পাশ থেকে মিষ্টি একটা গলা শোনা গেল।
হ্যালো কে বলছেন?
কি বলব বুঝতেছি না।হাত-পা এর দিকে তাকালাম দেখি কাপছে।তো পেসটিজ এর কথা ভেবে সাহস করে বলেই ফেললাম ভূত এর রাজ্যের ভূত।
আপনি ভূত হোন আর জাই হোন কে আপনি কার কাছে ফোন দিছেন এবং কেন?
প্রথমের মিষ্টিগলাটা এমন তেতো হয়ে গেল নিমিষেই। আর কথা না বলে লাইন কেটে দিলাম।
সকালে একটা মেসেজ পাঠালাম।কোন রিপ্লাই আসলো না।আমি প্রতি ঘন্টায় মেসেজ পাঠাতাম।জানতে চাইতাম কি করছে আর ভালবাসার কিছু উক্তি তো আছেই।একদিন ওপার থেকে রিপ্লাই আসলো কে আপনি এত মেসেজ পাঠান কেন।সত্যি করে বলেনতো আপনি কে?
যাক ভাগ্যের লাড্ডু তাহলে ফেটেছে।তো শুরু করলাম এ জার্নি বাই প্রেম।
প্রতিদিন আমাদের কথা হতো।আমরা আমাদের সম্পর্কে সবই বলতাম।আমার আসল পরিচয় টা বাধে।আমি ইমা এর প্রতি আমার দুর্বলতা লক্ষ করলাম।সত্যি আমি তাকে ভালবেসে ফেলেছি।যাই হোক ইমা যতদিন আমাকে না বলবে আমিও ওকে বলব না।তখন সময়টা ছিল ২০১১ সাল।আমি রাফি কে বললাম দোস্ত ইমার সাথে একদিন দেখা করিয়ে দিবি।
রাফি বলল কথা না বলিস তোরা নিজেরাই গিয়ে দেখা কর না।না দোস্ত আগে ওকে দেখব ও আমাকে দেখে পছন্দ করবে কিনা। তাই পরদিন রাফি এর সাথে ওর ভার্সিটিতে গেলাম।সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল রাফি।হঠাত একটা মেয়ে এসে বলল আরে দোস্ত তোর বউ কই কখন থেকে খুজতেছি।রাফি আমাকে চোখের ইশারা দিয়ে বুঝিয়ে দিল এটাই ইমা। এক পলকে তাকিয়ে রইলাম।এ যেন আকাশ থেকে নামানো এক অপরূপ সুন্দরী পরী।আমাকে পরিচয় করিয়ে দিল রাফি।ইমা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড শাকিল।ইমা তো মুখ চেপে হাসতে শুরু করল।রাফির কানে কানে কি জানি বলে হাসতে শুরু করল।পরে রাফির কাছে শুনতে পেরেছিলাম আমাকে আবুল বলেছে।
ইমাকে আর কল দেইয়নি রাগ করে তাই রাতে ইমা আমাকে মেসেজ করল কি আজ কোন মেসেজ পাঠাওনি কেন।রিপ্লাই দিলাম মেসেজ এর আজ অনেক মন খারাপ।ইমা আমার কথা শুনে আমাকে হাসানোর জন্য তার ভার্সিটিতে আজ দেখা আবুল মার্কাছেলেটির কথা বলছে।আমার তো গা টা আরও জ্বলে উঠছে।সে তো জানে না সেই ছেলেটিই আমি।আর কথা বলতে ইচ্ছা করছে না তাই লাইন কেটে মোবাইল এর সুইচ অফ করে ভাবতে লাগলাম।মনে পড়ে গেল শাহরুখ খানের রাব নে বানা দে জুড়ি ছবির কথা।আমাকেও স্মার্ট হতে হবে।বর্তমানের কথা ভেবে তো বাবাকে বললাম আমার এইভাবে ক্লাসে যেতে ভাল লাগে না।বাবা গ্রামের মানুষ সহজ সরল ছিল তাই যা চাইতাম তাই দিত।বাইক কেনার জন্য টাকা পাঠিয়ে দিল।ভাল একটা বাইক কিনেফেললাম।কাটা-ছেড়া পেন্ট আরো কত কি।সবি ইমার জন্য।ওকে দেখাব আমার ভালবাসা কাকে বলে সংজ্ঞা সহ উদাহরন।আমার ভার্সিটিতে আমাকে নিয়ে সবার মুখে এখন আমার বিশাল পরিবর্তন এর কথা শুনা যায়।
ইমা আমাকে প্রায় বলত দেখা করতে কিন্তু সাহস হয়নি যদি সেই আবুল মনে করে আমাকে রুটির ছ্যাক দেই।ইমাকে বলতাম ভূতেরা দেখা করতে পারে না।দিন যত যায় আমাদের সম্পর্ক আরোও গভীর হতে থাকল।আজ তারিখটা ০৭-১১-২০১১।রাফি কে বললাম চল আজ আবার তোর ভার্সিটিতে যাব।আবুল যে সুপার ম্যান হতে পারে তার একটা প্রমান তো আমার দিতে হবে।যেই আবার তার ভার্সিটিতে গেলাম অন্যরা তো আমাকে আর আমার বাইক দেখে তাকিয়ে আছে কিন্তু যখন ইমার সামনে গেলাম।একটা হেব্বি মুডে দাঁড়িয়ে আছি।কিন্তু জানতাম না আবুল তো আবুলি।আবারও আমাকে দেখে হাসতে শুরু করল।আর এক মূহর্ত না।বাসায় এসে মোবাইল অফ করে শুয়ে পড়লাম।আজ ১০ তারিখ মোবাইল অন করলাম।দেখি মেসেজ এর অভাব নাই।সব গুলো পড়ে আমার তো অনেক ভাল লাগছে।সব গুলাই ছিল ইমার।রাফির কাছে ইমার কথা শুনতে গেলাম।রাফি বলল আজ ২দিন দরে দেখছি ও সবসময় আনমড়া হয়ে বসে থাকে।কারো সাথে কথা বলে না।আর কত দেরি করবি নিজের পরিচয়টা এখন দিয়ে দে।অনেক ভাবলাম যা হবার হবে এইবার বলেই দিব আমার নাম শাকিল।আর আমিই সে আবুল।আর দেরি না করে ইমাকে ফোন দিলাম।আমার লাইন কেটে দিচ্ছে আজব তো।আবার দিলাম কেটে দিচ্ছে।কিছুক্ষন পরে কল ধরল।ঐ পাশ থেকে কান্নার শব্দ শুনতে পেলাম।আমার খুব খারাপ লাগছে ওর কান্না দেখে।ওর কথা আমি তোমাকে খুন করব ভূত হয়েছো না।সামনে এসো একবার তোমাকে চাপড়াইতে চাপড়াইতে ভূতগিরি ছুটাব।অনেক কষ্ট করে তার রাগ থামালাম।ওকে নিজে থেকেই বললাম চল কাল দেখা করি।ও তো আমার কথা শুনে বিশ্বাস করতে পারছে না।তো ঠিক আছে আমরা কাল পার্কে দেখা করব।তুমি একটা নীল শাড়ী পরে আসবা। আর আমি কি পরব বললাম না ইমা জানতে চাওয়ার পরেও।
পরদিন একটা সাদা পাঞ্জাবি পড়লাম।কারন সাদা রঙ ইমা ও আমার খুব পছন্দ।বাসা থেকে বেরিয়ে ইমাকে ফোন দিলাম ইমা বলল ও আমার আগেই এসে পরেছে।এখন ৯ টা বাজে।আজ ১১ টা গোলাপ ফুল কিনলাম ইমাকে দেওয়ার জন্য।১০.৩০ বাজে এখন পার্কে প্রবেশ করলাম।ইমাকে খুজতেছি।অবশেষে পেলাম।নীল শাড়ীতে ওকে খুব সুন্দর লাগছে।আমাকে আসতে দেখে ও মুচকি মুচকি হাসতেছে।ওর কাছে গিয়ে বললাম আপনি আমাকে দেখলে এত হাসেন কেন।
ইমা বলল হাসি আসে তাই।ইমা আরো জিজ্ঞাসা করল আপনি আজ পার্কে কেন কেউ আছে নাকি।এই বলে আরো হাসতে লাগল।কিছু বললাম না এক পলকে তাকিয়ে রইলাম।এই যে মিঃ এইভাবে তাকিয়ে আছেন কেন আমি আপনার গার্লফ্রেন্ড না।এই বলে ইমা মোবাইল বের করে কল দিতে লাগলো।১১.১১ বাজে  আমি ইমাকে বললাম ফুল গুলি একবার দরবেন ও দরল।
আমি ইমাকে ১১ বার I LOVE YOU বললাম।ইমা আমার কথা শুনে তো অবাক মোবাইলটা বের করে ওর কল রিসিভ করে বললাম আমাকে চিনতে পারছেন আমিই হচ্ছি সেই ভূতের রাজ্যের ভূত ।ইমার চোখ দিয়ে পানি পরতে শুরু করল।আমাকে কিছু না বলে ওঠে চলে যেতে লাগল।আমি বসে পরলাম আর ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম।কিছুক্ষন পর আমার পাশে কে যেন এসে বসল।এই যে মিঃশাকিল ওরফে ভূতের রাজ্যের ভূত আমাকে চিনতে পারছেন।আমি ইমা না আমি ইমার পেত্নী।এখন তোমার রক্ত পান করব আবুল ভূত কোথাকার।এই বলে ওর মাথাটা আমার বাহুর সাথে জড়িয়ে ধরল।
আজ প্রায় ১ বছর হয়ে গেছে।আজ ১১-১২-১২ তারিখ আজ আমাদের বিয়ে।এখন রাত ১২ বাজে ওকে১২.১২ তে আবারো সেই দিনের কথা মনে করিয়ে  গুনে গুনে ১২টা গোলাপ দরিয়ে ১২ বার I LOVE YOU বললাম. ওর কান্নাবেজা চোখে অপলক দৃষ্টিতে সুখের আবেশে ও আমাকে জড়িয়ে ধরল।
তাই সবসময় বলি ইমাকে ভালবাসি তাই ভালবেসে যাই।

(আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন)

"বাঁদর"

"বাঁদর"
এক থাপ্পড় দিয়ে দাঁত ফেলে দিব। বেহায়া, বাঁদর। যা ভাগ, নাহলে এইখানেই পাবলিকের হাতে গণধোলাই খাওয়াব।

শুনে ৩২টা দাঁত বের করে একটা ভিলেন টাইপ হাসি দিলাম। হাসিটা বিফলে গেল। অন্তরার ভ্রুকুটি আরও বাড়ল। বিরক্ত হয়ে বলল তুই যাবি? নাকি মাইর খাবি?
মুখটা একটু ভোতা করে বললাম “দুলাভাইয়ের সাথে একটু দেখা করেই যাই?”

আমিই আজ প্রথম দেখা করতে এসেছি। প্রথম দেখায় এসে যদি দেখে তোর মতো এক বাঁদরকে সাথে এনেছি তাহলে আমাদের প্রথম দেখাই শেষ দেখা হয়ে যাবে। যা ফুট............ অন্তরার রাগি উত্তর। মুচকি হেসে চলে আসলাম। মনে মনে বললাম সুন্দরী অনেক কিছুই তুমি জাননা। এই বাঁদর যে কত বড় বাঁদর সেটা যেদিন জানবে সেদিন তোমার চেহারাটা দেখার মত হবে ............

চলুন গল্পটা বোঝার জন্য আমরা কিছু পেছনে যাই। আমি তপু। বাঁদর বিশেষণ ইতিমধ্যে অন্তরার মুখে শুনেছেন, আরও এরকম অনেক সুন্দর সুন্দর বিশেষণ আমার বন্ধুমহল অকৃপণ হাতে আমাকে দান করেছে। মিথ্যা বলব না, পড়ালেখা ছাড়া বাকি সব বিষয়েই আমি আমার বিশেষণের সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখেছি শুধু পড়াশুনায় কিভাবে কিভাবে জানি একটু বেশিই ভালো হয়ে গেলাম, যদিয়ও এ নিয়ে আমাকে বিস্তর টিটকারি শুনতে হয়। যাই হোক, গল্পে ফিরে আসি গল্পের শুরু ফেইসবুক থেকে আমার একটা গ্রুপ ছিল, “মুখোশে ঢাকা কবি” নামে। আমি লুকিয়ে লুকিয়ে কবিতা লিখতাম। লুকিয়ে বলছি কারণ বন্ধুমহলে আমার যে ইমেজ,যদি তারা জানে আমি কবিতা লিখি তবে দিন দুপুরে আমার বলাৎকার তথা ইজ্জত-হরণ হয়ে যাবে সে গ্রুপ চালানোর জন্য আমার একটি ছদ্ম আইডি ছিল। গ্রুপটা অনেক পপুলার ছিল। গ্রুপে আমাদের ক্লাসের একটি মেয়ে নিয়মিত পোস্ট করত, আমার কবিতায় কমেন্ট করত। মেয়েটি আর কেউ নয়, অন্তরা আমাদের সেকেন্ড গার্ল। ফাস্ট কে ছিল জানেন? ঠিক ধরেছেন, সেই অধম আমিই ছিলাম।অন্তরা সারাদিন পড়ত, পণ্ডিত গ্রুপ এর সাথে গ্রুপ-স্টাডি করত। আমাকে দুচোখে দেখতে পারত না। সেকারণে গ্রুপে তার সকল কমেন্ট এর উত্তর খুব মজা করে দিতাম । এভাবেই ফেইসবুকে তার সাথে আমার পরিচয় ছদ্মনামের আড়ালে । দিন গড়িয়ে মাস বছর গেল । আমরা তখন থার্ড ইয়ারে ।ততদিনে ভার্সিটিতেও অন্তরার সাথে ভালো খাতির , খুব জ্বালাতন করতাম । সে আমাকে ফেইসবুকে সব বলত , তার কথা , ভার্সিটির কথা , বন্ধুদের কথা , এমনকি আমার কথা । আমাকে বলত “জান আমাদের ফাস্ট বয় পড়ালেখার ধার ধারেনা , সারাদিন বাঁদরামি করে । তার পরেও আমি তার নাগাল পাই না । মাথায় কি নিয়ে জন্ম নিয়েছে কে জানে।’ আমি এসব শুনতাম আর মুচকি মুচকি হাসতাম । সে অনেকবার আমার নাম্বার চেয়েছিল । আমি বলেছিলাম সময় হলে একেবারে দেখা করব । আমার পরিচয় গোপন রাখার ব্যাপারে আমি অত্যন্ত সাবধানী ছিলাম । আমি চাইনি আমার কবি-সত্তা সম্পর্কে আমার বিচ্ছু বন্ধুমহল জানুক আর আমার ইজ্জতের ফালুদা হয়ে যাক ।
একসময় নিজেও দুর্বল হয়ে যাচ্ছিলাম । সেই দুর্বলতা তার সামনেও প্রকাশ হতে লাগল । ক্লাসে আনমনে তার দিকে তাকিয়ে থাকতাম । একসময় সে বুঝতেও পারল হয়তো । অন্তরা অনেক শান্ত আর ভালো একটা মেয়ে । তাই বিষয়টা অন্যরকমভাবে সমাধানের জন্য একদিন সে আমাকে ডেকে বলল “এই শোন , আমি না একজনকে পছন্দ করি । ফেইসবুকে আমাদের পরিচয় ’’।
আমি হেসে বললাম ‘দেখেছিস’ ।
না ।
না দেখেই প্রেম ?
হম ।
যদি দেখিস পঞ্চাশ বছরের বুড়া ?
তাতে তোর কোন সমস্যা ?
না , আমার আর কি সমস্যা । বেস্ট অফ লাক......... আমি চলে আসলাম । সে ভাবল আমি হয়তো মনে কষ্ট পেয়েছি । আমি তখন হাসতে হাসতে পাগল হওয়ার দশা । আমার প্রেমে পড়ে আমাকেই রিফিউজ । যাই হোক , সেদিন রাতে সে মোবাইলে কথা বলার জন্য চাপাচাপি শুরু করল চেট এ । আমি বললাম ঠিক আছে , কাল দেখা করব । একদম সামনা সামনি দেখা, কথা সব হবে । কাল বিকাল চারটায় , টি এস সি থাকবে । আমি আসব ।
চিনব কিভাবে তোমায় ?
আমায় চিনতে হবে না । আমি তোমায় চিনি।
তার পরেও ।

ঠিক আছে , আমি কালো স্যুট পড়া থাকব আর তোমার ফুল তোলা নীল রুমালটা তোমায় ফেরত দিব , গত সপ্তাহে যা হারিয়ে গিয়েছিল । তা দেখে চিনে নিও ।

মানে ? আমার রুমাল তুমি কিভাবে পেলে ? সত্যি করে বল কে তুমি ?

“বললাম তো দেখবে কাল । এত উতলা হউ কেন ? আমি যাই , ঘুম পেয়েছে । বাই ’’ এই বলে অন্তরাকে হতভম্ব অবস্থায় রেখে ফেইসবুক থেকে বেরিয়ে আসলাম । পরেরদিন ক্লাসে দেখি অন্তরা শুধু ছটফট করছে । আমি পিছনে বসে শুধু মজা নিচ্ছিলাম । দুপুরের দিকে সে বাসায় চলে গেল । আমি বাসায় এসে গোসল করে ভালভাবে তৈরি হলাম । তারপর ময়লা একটা টিশার্ট আর বিবর্ণ এক জিন্স পরে সাড়ে তিনটার সময় বাইক নিয়ে অন্তরার বাসার কাছের একটা গলিতে গিয়ে দাঁড়ালাম । অল্পক্ষণ পরে অন্তরা এসে রাস্তায় দাঁড়াল । নীল শাড়ী পরে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছিল । বাইকটা টান মেরে অন্তরার সামনে নিয়ে ব্রেক করে দাঁড়ালাম ।
আরে অন্তরা , তুই ? কোথায় যাবি ?
টি এস সি ।
তাই নাকি ? আমি ও সেখানেই যাব । আয় ।
না থাক , আমি রিক্সা নিয়ে যাব ।
আয় তো , এত প্যাঁচাল পাড়িস না ।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও অন্তরা বাইকে উঠে বসলো । যেতে যেতে বললাম “ কিরে । এত মাঞ্জা মারতে তো তোকে জীবনেও দেখলাম না । কাহিনী কি ?
প্রথমবার দেখা করতে যাচ্ছি ।
তাই?
হম ।
ভালো , ভালো ।
কিছুক্ষণের মাঝে টি এস সি এসে বসলাম দুজন । শুরু করলাম আমার শয়তানি । অন্তরা এমনিতেই টেনশনে ছিল । তার মাঝে আমার খোঁচাখোঁচিতে চরম বিরক্ত হয়ে রেগে গেল ।
এই , তুই যাবি না ?
না , দুলাভাইকে দেখে যাই। ২৫ বছরের ছোকরা নাকি ৪৫ বছরের বুড়া ।
যা ভাগ । সময় হয়ে গেছে । এসে পরবে এখন ।
দোস্ত , একটা কথা বলি ?
কি ?
যদি ৪৫ বছরের বুড়া হয় তো সেকেন্ড অপশন হিসাবে আমাকে রাখিস ?
এখন ফাজলামি করার মুড নাই । তুই যা দোস্ত , প্লিজ ।
শুধু বল রাজি , তাহলেই আমি ভাগব ।
এক থাপ্পড় দিয়ে দাঁত ফেলে দিব । বাঁদর । যা ভাগ , নাহলে এইখানেই পাবলিকের হাতে গণধোলাই খাওয়াব ।

শুনে ৩২টা দাঁত বের করে একটা ভিলেন টাইপ হাসি দিলাম । হাসিটা বিফলে গেল । অন্তরার ভ্রুকুটি আরও বাড়ল । বিরক্ত হয়ে বলল তুই যাবি ? নাকি মাইর খাবি ?
মুখটা একটু ভোতা করে বললাম “দুলাভাইয়ের সাথে একটু দেখা করেই যাই ?”

আমিই আজ প্রথম দেখা করতে এসেছি । প্রথম দেখায় এসে যদি দেখে তোর মতো এক বাঁদরকে সাথে এনেছি তাহলে আমাদের প্রথম দেখাই শেষ দেখা হয়ে যাবে । যা ফুট............

বাইক নিয়ে চলে আসলাম কাছেই আপার বাসায় । এসে ফ্রেশ হয়ে ড্রেস চেঞ্জ করলাম । স্যুট পরে আপার কার নিয়ে গেলাম টি এস সি ।

কিরে ? তোর বুড়া আসেনি ?

চমকে গিয়ে অন্তরা আমার দিকে তাকালো । আমি তখন কালো স্যুট পড়া , কার থেকে নেমে অন্তরার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম । “ এখনো ভেবে দেখ ,সেকেন্ড অপশন হিসাবে আমি কিন্তু খারাপ না । কি বলিস ? ’’

চোখে সন্দেহ নিয়ে অন্তরা জিজ্ঞেস করল “ স্যুট পরেছিস কেন ?”

এইটা তোকে দেয়ার জন্য----- বলে আমি রুমালটা বের করলাম ।

অন্তরার মুখে তখন কোন কথা নেই । অনেক্ষন ডাগর ডাগর চোখ মেলে বোকার মতো আমার দিকে তাকিয়ে ছিল । তারপর হটাত মুচকি হাসি দিয়ে মাথা নিচু করল ।

আমি জিগ্যেস করলাম “ কি , প্রথম অপশন নাকি দ্বিতীয় অপশন ?

আস্তে করে মাথা তোলে আমার চোখের দিকে তাকাল অন্তরা । তারপর তার বিখ্যাত হাসিটি দিয়ে বলল............বাঁদর .........দ্বিতীয় অপশন............খুশি ?

লিখেছেন-দেবাশীষ মজুমদার সাগর

গল্প-২

প্রথম কথোকপথন....

-: ঐ মেয়ে, তোমার নাম কি ?
-: আমার নাম দিয়ে আপনার
কি কাম ?
(ঐ ছেরি, এত কস ক্যান ?
যেটা জিগাইছি সেটার উত্তর
দে)
-: না মানে..... এমনি !
-: না মানে..... এমনি ?
এমনি মানে কি ? আমি প্রায়
সময় খেয়াল
করি আমি ছাদে উঠলে আপনি আমার
দিকে হা করে তাকিয়ে থাকেন !
আপনার জ্বালায়
আমি ছাদে পর্যন্ত
উঠতে পারি না । আপনাদের মত
ছেলেদের আমি খুব ভাল করেই
চিনি !
প্রথম দিন বলবেন- হাই !
দ্বিতীয় দিন-
নাম্বারটা চাই !
তৃতীয় দিন- ভালবাসি তোমায় !
যত্তসব !
(ও খোদা ! এ মাইয়্যা কয় কি ?
গত ছয় মাস ধরে নাকের আগায়
আগায় ঘুরতেছে । কোনদিন
তো কথাও বলি নাই ! আজ প্রথম
বারের মত কথা বলতে গিয়েই
এই ব্যবহার ! ধুর, কি দরকার
ছিল
গায়ে পড়ে গিয়ে কথা বলার ?
ভাগ্যটাই খারাপ আমার ! এর
সামনে আর বেশিক্ষণ
থাকা যাবে নাহ ! মুখ
লুকিয়ে কিভাবে পালিয়ে বাঁচা যায়
সেটা ভাবছি, এমন সময়
সে বলে উঠল-)
-: By the way, আমার নাম
পিয়া ! আপনার নাম কি ?
(কোন সুন্দরী তার নাম
বললে খানিকক্ষণ তার নামের
প্রশংসা করতে হয়- এটাই
নিয়ম । কিন্তু এ
মাইয়া প্রথমেই যে বাঁশ দিল,
তাতে প্রশংসা করার আর মুড়
নাই !)
-: নীল । আমার নাম নীল ।
-: হি হি হি ! আমার এক
বান্ধবীর নাম নীলা !
(আশ্চার্য ! তার
বান্ধবী একটা মেয়ে আর
একটা মেয়ের নাম নীলা হতেই
পারে । এখানে হাসার
কি হল ?)
-: না মানে... আমার নাম নিলয়
। নিলয় থেকে সংক্ষিপ্তরূপ
নীল !
-: নিলয়.....? হা হা হা ! আমার
এক কাজিন ময়মনসিংহ গার্লস
ক্যাডেট কলেজে পড়ে । তার
নাম নিলয় !! আপনার
তো দেখি পুরাই মেয়েদের
নাম !
(নিলয় মেয়েদের নাম ??
জীবনে এ কথা প্রথম বারের মত
কেউ আমাকে বলল ! এ
মেয়েকে এখন মজায় পাইছে !
এখন আমি যদি বলি আমার নাম
আলবার্ট আইনস্টাইন,
আমি ড্যাম শিউর যে এ
মেয়ে তখন বলে উঠবে-
হো হো হো ! আমার ছোট খালার
নাম তো আলবার্ট আইনস্টাইন !
যাগ্গে ! সে রিক্স আর নিলাম
না । হাসুক । যত খুশি হাসুক ।
তাতে আমার কি আসে যায় ?)
:- ও আচ্ছা ! কি আর করব বল ?
আম্মায় আব্বায় রাখছে । তখন
ছোট ছিলাম তো, তাই
বুঝতে পারি নি এটা ছেলেদের
নাকি মেয়েদের নাম !!
:- হুম । সেটাই ! আচ্ছা,
আপনি যদি আপনার নাম রাখার
সুযোগ পেতেন
তবে কি রাখতেন ?
(এ মেয়ে তো দেখি পিতির
পিতির অনেক কথা কয় !
তাইলে প্রথমে এমন বাঁশ দিল
ক্যান ?)
-: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার !
-: হা হা হা ! খারাপ হত না ।
তবে নীল নামটাও খারাপ না ।
মেয়েরা সাধারণ ছেলেদের
নামের প্রশংসা করে না ।
কিন্তু এ মেয়ে তো দেখি তাও
করে ফেলল । এখন
যদি তারে একটু পাম্প না দিই
তবে সেটা একটু খারাপ দেখায়)
-: তোমার নামটাও খারাপ না ।
পিয়া ! অনেক সুন্দর একটা নাম
। আমি যখন স্কুলে ছিলাম তখন
আমাদের
সাথে পিয়া নামে একটা মেয়ে ছিল
। এত্ত সুন্দর ! বলার বাইরে !
আমার জীবনে এত সুন্দর
মেয়ে আর
দ্বিতীয়টি দেখি নি ! মিস
ইউনিভার্সও তার কাছে হার
মানবে ! কিন্তু সমস্যা হল-
মেয়েটা হিন্দু ছিল !
পিয়া রানী পাল !
নইলে নির্ঘাত তার
সাথে প্রেমে করতাম !
(মেয়েরা নাকি কখনোই তার
সামনে অন্য মেয়ের
প্রশংসা সহ্য করতে পারে না ।
পরীক্ষামূলক বাঁশ)
-: অনেক সুন্দর ছিল বুঝি ?
-: হুম । অনেক.....
(মেয়ের মন খারাপ
হয়ে গেছে । যাক, ডোজ
তাহলে জায়গামত পড়ছে)
-: তুমিও অবশ্য কম সুন্দর না !
(পাম্প ! পাম্প !! পাম্প !!!)
-: থ্যাংকস ।
(মেয়ের মুখে হাসি ফুটছে ।
আরেকবার বাঁশ দিব
কিনা ভাবতেছি । না থাক ।
বেশি দিলে আবার মাইন্ড
খাইতে পারে ! মেয়েও চুপ ।
আমিও চুপ । কারো মুখে কোন
কথা নাই । একবার ভাবলাম
জিজ্ঞাসা করি- প্রথমে এমন
করলে কেন ? পরে ভাবলাম-
থাক । কি দরকার ? সব কারণ
জানতে হয় না । মেয়েই আবার
শুরু করল-)
-: আপনি এখন নিয়মিত
ছাদে আসেন না কেন ?
(হায় আল্লাহ ! কয় কি এ
মাইয়্যা ? আমি যে এখন
রেগুলার
ছাদে আসি না সেটা তো আমি নিজেও
জানি না ! এ মাইয়া এসব
খেয়াল করে নাকি ?)
-: কই আসি তো !
-: না । আগের মত আসেন না ।
আগে প্রতিদিন
বিকেলে ছাদে উঠলে আপনাকে দেখতাম
। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ
দেখি নাহ !
-: ও আচ্ছা !
আসলে আগে বিকেলে বাসায়
থাকতাম । এখন থাকি না ।
জিমে যাই ।
-: জিম ? আপনি ? হা হা হা !
এমনিতেই তো স্বাস্থ্যমন্ত্রী !
জিমে গিয়ে কি করবেন ?
(এ মেয়ে এত হাসে ক্যান ?
হাসুনি গোটা খাইছে নাকি ?
সেই তখন থেকে হাসতেছে ।
যত্তসব)
-: মাইন্ড করলেন নাকি ?
-: না তো ! মাইন্ড অনেক
দামি জিনিস । এত
দামি জিনিস আমি খাই না ।
হজম হয় না !
(আমার ফেবারেট ডায়ালগ !)
-: ওহ ! সেটাই ভাল ! আপনার
ফেসবুক আইডিটা দেন তো ?
(ওরে বাবা ! ডিরেক্ট একশন !
জটিল মেয়ে)
-: আমি তো ফেসবুক ইউজ
করি না !
-: কি বলেন ? আপনি ফেসবুক
ইউজ করেন না ? কোন যুগে বাস
করেন আপনি ?
(মেয়ে,
তুমি কি নিজেকে ইসমাট ভাব ?
তাইলে মনে রাইখো-
আমি হইলাম উভার ইসমাট !)
-: আসলে ফেসবুক খুব কমন
হয়ে গেছে ইদানীং ! এত কমন
জিনিস ইউজ করতে ভাল
লাগে না আমার । আমি সব সময়
ইউনিক টাইপ জিনিস খুঁজি ।
আমি টুইটার ইউজ করি !
(পার্ট লইছি ! পুরাই পার্ট!!)
-: নাহ ! আসলে টুইটার অনেক
হার্ড ! কিছুই বুঝি না ।
-: হুম সেটাই ! সবাই টুইটার
ইউজ করতে পারে না । টুইট
করার জন্য
এক্সটা কোয়ালিফিকেশনের
দরকার হয় ! সবার
সেটা থাকে না !!
(সুন্দরী,
তুমি প্রথমে আমাকে বাঁশ
দিছিলা ! বাঁশ কিন্তু আমিও
দিতে জানি- মনে রাখবা)
-: কি ভাবে টুইটার ইউজ
করতে হয়
সেটা আমাকে শেখাবেন ?
-: আমি তো ফ্রি কোন কিছু
কাউকে শিখাই না ! এর
জন্যে তো চার্জ দিতে হবে !!
-: আপনি এত হিংসুক কেন ?
-: আমি হিংসুক না ! আমি হলাম
বাস্তববাদী ।
তুমি চারপাশে একটু
তাকিয়ে দেখ । আজকাল কি কোন
কিছু ফ্রি আছে ?
-: হয়েছে । হয়েছে । থাক । আর
লেকচার দিতে হবে না । যান,
দেবনে.... শিখাবেন তো ?
-: হুম । শিখাবো !
(এমন সময়
ছাদে একটা পিচ্ছি এল ।
কি জানি বলল ওকে)
-: আম্মায় ডাকছে । এখন যাই ।
পরে কথা হবে ।
-: ঠিক আছে । যাও !
-: ভাল থাকবেন ।
-: হুম । তুমিও ।
-: বাই ।
-: বিদায় !
(মেয়ে,
যে কথাটি তোমাকে বলা হয়
নি- পরে আর কথা বলার সুযোগ
তুমি আর পাবে না !
বাসা চেইন্জ্ঞ করা হয়েছে ।
জিনিসপত্র ট্রান্সফার চলছে ।
কাল বিকেল কিংবা পরশু
সকালে চলে যাব । জীবনে হয়ত
আর কোনদিন দেখাও হবে না ।
কোন দিন বলাও হবে না-
মেয়ে, তোমাকে ভেবে অনেক
কবিতা লিখেছিলাম ।
দেখেছিলাম অনেক স্বপ্নও !
থাক । সব কথা সব সময়
বলতে হয় না । শুধু বলব-
ভালো থেকো তুমি ।)


লিখেছেন -Forhad Ahmed Niloy

মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১২

গল্প -১

একটি অসাধারন গল্প।

আশা করি সবার ভাল লাগবে।

একদিন একটা গরীব ছেলে রাস্তায় হাঁটছিলো ।
সে তার লেখাপড়ার খরচ
জোগাড় করার জন্য ঘরে ঘরে গিয়ে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতো ।
ছেলেটার গায়ে ছিলো একটা জীর্ন মলিন পোষাক ।
সে ভীষণ ছিলো ।
... সে ভাবলো যে পরে যে বাসায় যাবে , সেখানে গিয়ে সে কিছু খাবার চাইবে ।
কিন্তু সে যখন একটা বাসায় গেলো খাবারের আশা নিয়ে , সে ঘর
থেকে একজন সুন্দরী মহিলা বেরিয়ে এলেন ।
সে খাবারের কথা বলতে ভয় পেলো। সে খাবারের কথা না বলে শুধুএক
গ্লাস পানি চাইলো ।
মহিলা ছেলেটার অবস্থা দেখে বুঝলেন যে সে ক্ষুধার্থ । তাইতিনি ছেলেটাকে একটা বড় গ্লাস দুধ এনে দিলেন ।
ছেলেটা আস্তে আস্তে দুধটুকু খেয়ে বলল"আপনাকে আমার কত
টাকা দিতে হবে এই দুধের জন্য?"
মহিলা বলল "তোমাকে কোন কিছুই দিতে হবে না ।
ছেলেটা বলল "আমার মা আমাকে বলেছেন কখনোকরুণার দান
না নিতে । তাহলে আমি আপনাকে মনের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ দিচ্ছি ।"
ছেলেটার নাম ছিলো স্যাম কেইলি ।
স্যাম যখন দুধ খেয়ে ঐ বাড়ি থেকে বের হয়ে এল , তখন
সে শারিরিকভাবে কিছুটা শক্তিঅনুভব করলো ।
স্যাম এর বিধাতার উপর ছিলো অগাধ বিশ্বাস ।
তাছাড়া সে কখনো কিছু ভুলতো না ।
অনেক বছর পর ঐ মহিলা মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পরলো ।স্থানীয়
ডাক্তাররা তাকে সুস্থ করতে চেষ্টা করেও ব্যার্থ হল ।তখন
তাকে পাঠানো হলো একটা বড় শহরের নামকরা হাসপাতালে ।
যেখানে দুলর্ভ ও মারাত্মক রোগ নিয়ে গবেষণা ও চিকিত্সা করা হয় ।
ডা: স্যামকেইলি কে এই মহিলার দায়িত্ব দেওয়া হলো । যখন ডাঃ স্যাম কেইলি শুনলেন যে মহিলা কোন শহর থেকে এসেছেন ,
তার চোখের দৃষ্টিতে অদ্ভুথ একটা আলো যেন জ্বলে উঠলো ।
তিনি তাড়াতাড়ি ঐ মহিলাকে দেখতে গেলেন ।ডাক্তারের এপ্রন
পরে তিনি মহিলার রুমে ঢুকলেন ।এবং প্রথম দেখাতেই
তিনি মহিলাকে চিনতে পারলেন ।তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন যে ,
যেভাবেই হোক তিনি মহিলাকে বাঁচাবেনই । ঐ দিন থেকে তিনি ঐ রোগীর আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া শুরু করলেন ।
অনেক চেষ্টার পর মহিলাকে বাঁচানো সম্ভব হলো ।
ডাঃ স্যাম কেইলি হাসপাতালের একাউন্টেন্ ট কে ঐ মহিলার চিকিত্সার
বিল দিতে বললেন,কারণ তার সাইনছাড়া ঐ বিল কার্যকর হবে না ।
ডাঃ স্যাম কেইলি ঐ বিলের কোণায় কি যেনো লিখলেন এবং তারপর
সেটা ঐ মহিলার কাছে পাঠিয়ে দিলেন । মহিলা ভীষণ ভয় পাচ্ছিলেন বিলটা খুলতে। কারণতিনি জানেন
যে এতো দিনে যে পরিমাণ বিল এসেছে তা তিনি সারা জীবনেও শোধ
করতে পারবেন না ।
অবশেষে তিনি বিলটা খুললেন এবং বিলের পাশ দিয়ে লেখা কিছু
কথা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো ।
তিনি পড়তে লাগলেন "আপনার চিকিত্সার খরচ হলো পুরো এক গ্লাস দুধ।"
এবং বিলের নিচের সাইন করা ছিলো ডাঃ স্যাম কেইলির নাম ।
~

Moral:- মানুষকে সাহায্য করুন , যতটা আপনার পক্ষে সম্ভব ।

হয়তো এই অল্প সাহায্যের ফল হিসেবে আপনি এমন কিছু পাবেন
যা কখনো আপনি চিন্তাই করেননি!

সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১২

শুধু ভালোলাগা নাকি ভালবাসার গল্প!!!

শুধু ভালোলাগা নাকি ভালবাসার গল্প!!!
Writer: জয় রাজ খাঁন


আজ ১৪ই ডিসেম্বর সারাদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে বাসায় এসেছি মাত্র । এখন রাত প্রায় ১১টা, দেরীতে ফিরেছি বলে আজ মা বকুনি দিল, তাই খুব খিদে পেয়েছে তবুও, না খেয়েই রইলাম ভাবলাম আজ সারা রাত জাগবো, facebook এর একটা পেজ এর এডমিন আমি, তাই রাত জেগে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবো, তাই আমার ROOMএ এসে PC টা On করে বসে পরলাম facebook এ, আর তখনি এক বন্ধুর ফোন...
ওপাশ থেকে...
মাসুদঃ জয় আজ রাতে তুমি পেজে আড্ডা মারো আমি গ্রামের বাড়ীতে এসেসি তাই আজ কিচ্ছু পোস্ট ও করতে পারছি না, মোবাইল নেট Prob...
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে আমি আজ জেগেই আছি, পোস্ট করবো, তুমি ফিরে আসে ফোন দিয়...
মাসুদঃ আচ্ছা, Good N8...& Take care!!
আমিঃ ওকে Good N8 & Take Care!!! bye!
তার পরে আবার facebook এ, মাত্র আমাদের অনেক গুলো NEW FaN Join করেছে তাদের দিকে দেখেই, নিচের দিকে কারসর টানতেই চোখ পরল একটা নতুন জয়েন করা মেয়ের দিকে, নাম "ত্রিশা" দেখেই অবাক হলাম, আমার এক কাজিন এর নাম ও তাই, মামার সাথে একটু পারিবারিক ঝগড়ার কারনে ওদের সাথে যোগাযোগ নেই, আমি আমার কাজিন ভেবেই ওর প্রোফাইলে গেলাম, গিয়ে ঠিক চিনতে পারছিলাম না, প্রোফাইল PIC এ একটা মেয়ে কে দেখলাম দারিয়ে আছে আনমনে কি যেন একটা দেখছে, আমি ওকে মেসেজ পাঁঠাতে যেয়ে দেখি ওর মেসেজ ইনভিসিবল তাই মেসেজ পাঁঠাতে পারলাম না, তার পর ভাবলাম ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাই, Friend Request পাঠাতে গেলাম, কিন্তু ওর সাথে আমার কমন ফ্রেন্ড একজন ও ছিল না তাই, ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট টা ও যাচ্ছিল না, তখন আর কি উপায়?? ভাবলাম থাক আর লাগবেনা, পরে মনে হল ইশ!! যদি ওর সাথে কথা না হয় ত সারা জীবন একটা দ্বিধায় থাকবো ও কি আমার কাজিন ছিল নাকি অন্য কেউ? তাই আর কোনো কিছু না পেয়ে ওর মেসেজ নয়তো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাবার আশায় Poke মেরে দিলাম, একটু পরেই Poke Back আসলো আমি আবার পাঠালাম এমন করতে করতে একবার ও পাঠায় আর একবার আমি পাঠাই এমন করতে করতে একসময় ওপার থেকে আর Poke আসা বন্ধ হয়ে গেলো, আমি ভাবলাম রাত দেড়টা বেজেগেছে হয়তো ঘুমিয়ে গেছে নয়তো খুব জ্বালিয়ে ফেলেছি, ইস!! এত কেন জ্বালালাম?? যদি গালাগাল দেয়??  তাই ভোর ৪টা পর্যন্ত আড্ডা মেরে ঘুমিয়ে পরলাম, ঘুম থেকে উঠলাম ১২টায় উঠেই যথারীতি ফেসবুকে লগইন করলাম, আর দেখলাম Poke Back এসেছে আর সাথে একটা মেসেজ,
ওপার থেকেঃ "আপনি আমাকে এত Poke করছেন কেনো?"
আমিঃ আসলে আপনাকে আমার চেনা চেনা লাগছে ত তাই ভাবলাম আপনি আমার কাজিন "ত্রিশা" কি না?? তাই, সরি আসলে আপনাকে কি আমি জানি কিনা বুজতে পারছি না?? আর তাই হয়তো একটু বেশী জ্বালাতন করে ফেললাম, আসলে আপনাকে মেসেজ আর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট কোনোটাই যাচ্ছিলো না তাই একটু বেশিই জ্বালাতন করে ফেললাম, প্লিজ মাফ করে দিবেন!!
তার একটু পরেই মেসেজ এলো...
ওপাশ থেকেঃ আসলেই !! মেসেজ তো আপনি চাইলেও পাঁঠাতে পারতেন না, 'তো its ok, but প্লিজ আর Poke দিয়েন না...
আমিঃ আচ্ছা আর দিবোনা, আচ্ছা আপনি কোথায় থাকেন? আপনি কি আমার কাজিন "ত্রিশা" কিনা বললেন না তো? আমি কি আপনাকে জানি?
ওপার থেকেঃ না আমি আপনাকে চিনি না আর আপনিও আমাকে চিনেন না...
১৫ তারিখ সারাদিন আমাদের মেসেজে কথা হল, বিকেলে ওকে বললাম আপনাকে আমার ভালো লেগেছে কাল ১৬ ডিসেম্বর আমার জন্মদিন, আপনার কাছে আমার BIrthday Gift হিসেবে আপনাকে আমার ফ্রেন্ড হিসেবে চাইছি, জানিনা আপনি হবেন হবেন কিনা আমার ফ্রেন্ড, কিন্তু এই জন্মদিনে যদি আপনার ফ্রেন্ড হতে পারি তবে সেটা হবে আমার এই বছর পাওয়া সবচে বড় জন্মদিনের উপহার, আর যদি না হন, তাহলে এটা সুদু  আমার জন্মদিনের নয়, আমার সারা জিবনের একটা অপূর্ণ চাওয়া, যা হয়তো আর কখনো পূর্ণ হবার নয়...।

মেসেজ টা পাঠিয়ে দিলাম...
তারপর আমি আবার রাতে যখন সব বন্ধুরা আমাকে ফোনে জন্মদিনের Wish করছিলো তখন ফোনে কথা বলতে বলতে ফেসবুকে এসে দেখি একটা নিউ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এসেছে, রিকোয়েষ্ট টা দেখে একরকম অবাক ই হলাম, একা ছিল "ত্রিশা"র ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট, আমি তারাতারি Accept করেই মেসেজ এ গিয়ে দেখলাম, আমাকে ও Birthday Wish করেছে আর...
লিখেছেঃ আপনাকে জন্মদিনের উপহার টা হল আমার ফ্রেন্ডশিপ, এখন আপনি খুশি তো??
আমার তো মেসেজ দেখেই খুশির ঈদ নেমে এলো, তারাতারি তাকে যত ভাবে খুশি হওয়া টা প্রকাশ করা যায় তাই করলাম, তার পর সেই রাতে ঘুমালাম না, ভাবলাম আবার কখন সে facebook এ আসবে, যদি আবার এসে আমাকে মেসেজ করে, তো আমি তো তাকে মিস করে ফেলবো, ভোর ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ঘুমাতে গেলাম, আর ৯টায় ই ঘুম থেকে উঠে মন ভালোলাগছিল না তাই ফেস বুকে এলাম, আর এসেই তার মেসেজ পেয়ে মনটা খুশিতে নাচতে শুরু করলো, আর ১৬ডিসেম্বর আমার জন্ম দিন এর সারাদিন টা কাটলো তার সাথে ফেসবুকে Chat করতে করতে, যদি সে না থাকতো হয়তো, এবারের জন্মদিন টা আমার একদম ই ভালোকাটতো না, আজ সারা দিন ও তার সাথে মেসেজে মেসেজে কেটেছে, আজ সকাল থেকে নাস্তা খাওয়া, দুপুরে খাওয়ার কথাও ভুলে গেছি আর সবচে বড় ব্যাপার আজ গোসলে যাওয়ার ও ইচ্ছে করেনি তাকে একা রেখে, পরে শেষে সন্ধ্যায় সে একটু ফ্রেশ হবে আর মোবাইল টা Charge করবে বলে চলে গেলো, আর আমি এই মহা ঠাণ্ডার মাঝে তাড়াতাড়ি করে গোসল করে এলাম, জানিনা এটা কেমন ভালোবালাগা??? এটা কি শুধু ভালোলাগা নাকি একটা শুরু না হওয়া ভালবাসার গল্প???  (এটা ওকে Plzzz কেউ বলবেন না যেন? তাহলে কিন্তু ভীষণ বকা দিবে, ও আর আমি ওকে পাগলি বলে ডাকি...)...


<3 এই গল্পটার শেষ টা আমার জানানেই, তাই আপনারাই বলুন, এই গল্প টার শেষ টা কি হতে যাচ্ছে?? এটা কি শুধু ভালোলাগা নাকি একটা শুরু না হওয়া ভালবাসার গল্প??? <3
<3 লিখায় কোথাও কোনো ভুল থাকলে দয়াকরে ক্ষমা করে দিবেন, নিজের মত করে লিখতে গেলে কিছু তো ভুল হতেই পারে তাই না??? <3

<3 ভালোলাগলে লাইক, কমেন্ট করুন??? <3