♥♣বিয়ের দাওয়াত♣♥
মোঃমাসুদ রানা
(সত্য ঘটনা
অবলম্বনে)
==========================================
বন্ধুরা আজ আপনাদের আমার জীবনে ঘটে যাওয়া এক মজার কাহেনী শুনাব।আসা করি না
হেসে থাকতে পারবেন না।
২০০৯সাল-আজ শুক্রবার।আমারা ৩ বন্ধু আমি,প্রতিক, প্রিন্স। সকাল ৮ টায় বাসা
থেকে বের হইছি একটা পরীক্ষা ছিল স্যারের(আবির ভাই) কাছে ।
তো পরীক্ষা শেষ হয় ১১টা দিকে।রাস্তা দিয়ে হাটছি আমরা। প্রচুর ক্ষুদা পাইছে
আমাদের ৩ জনের। প্রতিকের আর একটা বন্ধু এসে আমাদের সাথে যোগ দিলো। আমি তাকে চিনি
না।
তার সাথে পরিচয় হলাম। তার নাম রাফি। এই সামান্য পরিচয় এ আমরা রাস্তা দিয়ে
হাটছি। এখন ১১টা ৩০ বাজে।
।আমরা উত্তরার সোনার গাও জনপথ দিয়ে হাটছি। এমন সময় প্রতিক এর নজরে এক CUMMINUTY
CENTRE পরলো।
যেখানে মানুষ ভিতরে প্রবেশ করছে।তো প্রতিক আমাদের সবাইকে ঐ CUMMINUTY
CENTRE কথা বলে।আমরা ভাবলাম আজ বিয়ের কোন অনুষ্ঠান হবে।
একদিক দিয়ে আমাদের পেটে অনেক ক্ষুধা লাগছে।প্রিন্স তো বলেই ফেলল চল আজ পেট
ভোজন একটা দিয়ে আসি বিনা টিকেটে।
প্রতিক আর রাফি তো রাজি হয়েই গেল।আমি বার বার না করতেছি কারন যদি ধরা খায়,
পরেতো আবার বড় বড় পাতিল ধুতে হবে।
শেষ-মেশ ওদের কথায় রাজি হলাম।মসজিদে আযান দিচ্ছে।তাই সবাই ঠিক করলাম নামায
পড়ে তারপর CUMMINUTY CENTRE ঢুকবো।
নামায এ মোনাজাতে প্রিন্স আর প্রতিক এর দোয়া করা শুনতেছি।তারা দোয়া করতেছে
আল্লাহ আজ যেন বিনা টিকেটের দাওয়াতে ভালভাবে খেতে পারি ধরা যেন না খাই,আল্লাহ
আমাদের দোয়াটা কবুল কর।জানি না আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করল কিনা।
নামায পড়া শেষ। CUMMINUTY CENTRE ঢুকার পালা।খুব ভয় ভয় লাগছিল সবার।আমরা
ভিতরে ঢুকলাম দেখি অনেক গুলা চেয়ার আর টেবিল ভাল করে সাজানো।
প্রতিটা টেবিল এ ৫ টা করে চেয়ার ছিল।তো আমরা বসে পরলাম।আমাদের সাথে একটা UNCLE
বসল তার ছোট একটা ছেলে নিয়ে।আমরা খাওয়া START করলাম। UNCLE কে প্রতিক খাবাড় বেড়ে
দিচ্ছে। আমি প্রতিক কে উদ্দেশ্য করে বললাম আরে প্রতিক UNCLE কোথায়?
প্রতিক বলল আব্বুতো নিচে অনান্য UNCLE সাথে কথা বলছে।ও আচ্ছা ঠিক আছে।
চোখের সামনে শুধু পোলাও,রোস্ট,গরুর মাংস,বোরহানী,আরও কত কি।
আমরা ভাল করে আমাদের পেট ভোজন করলাম।হাত ধুতে চলে গেলাম আমরা।কিন্তু রাফি
কে খুজে পাচ্ছি না।কোথায় গেল?
তো যাই হোক এখন যার অনুষ্ঠান তাকে তো দেখা উচিত মানে বউ কে দেখতে হবে।
অনেক লোক ছিল ভিতরে।তো আমরা বউ দেখতে চললাম বউ কোন ঘরে আছে সে ঘর খুজতে
লাগলাম ।
আমিতো প্রায় কাউকে জিজ্ঞাস করেই ফেলছিলাম ভাই বউ এর ঘর কোনটা?
কিন্তু আমরা কোন পক্ষের এ কথা ভেবে আর আর কাউকে জিজ্ঞাসা করি নাই আমি।
আমরা যখন বউ এর রুমে ঢুকলাম এবং যা দেখলাম তা দেখে আমাদের ৩ জন একজন অপর
জনের দিকে তাকালাম।
একটা পিচ্চি ছেলে বউ এর জায়গায় বসে আছে।
।তখন সবাই বুঝতে পারলাম পিচ্চির সুন্নতি খাৎনার দাওয়াত এটা।
এখন ভাবুন আমি যদি জিজ্ঞাসা করেই ফেলতাম বউ কোন ঘরে আছে তো কি হতো?
আর যাই কোথায় আর এক মূহর্ত দেরি না করে নিচের দিকে দিলাম ভোঁ দোর।
নিচে যেতেই দেখি বড় ছাগল রাফি দাঁড়িয়ে আছে।
প্রতিক মাথায় একটা চাপড় দিয়ে বলল শালা আমরা মরি বিয়ের দাওয়াত খেয়ে আর তুই
নিচে দাড়িয়ে আছিস।
রাফি তখন এক কথায় বলল “আমরা খায় দায় আর উঢি চলি যাই”
পরে বুঝলাম রাফি নোয়াখাইল্লা।
==============================================================================================
কেমন লাগল আমার জীবনের এই ঘটনাটা,ভাল লাগলে LIKE ও COMMENT করুন।
(উৎসর্গঃ আমার ৩ বন্ধুকে প্রতিক,প্রিন্স,রাফি)
Writer and Addmin>>>>> মোঃ মাসুদ রানা
বিদ্রঃ বন্ধুরা আপনারা যদি আমাদের পোস্ট গুলোতে নিয়মিত LIKE না দিন তো গল্প
লিখতে উৎসাহিত হতে পারিনা। আর আমাদের
পোস্ট গুলো যদি নিয়মিত লাইক না দিন তো আপনার হোম পেইজ এ আমাদের পোস্ট গুলো হাইড
হয়ে যায়।