আমাদের ফেসবুক পেজে জয়েন করুন http://www.facebook.com/vhalobashar.golpo

রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১২

♥♣বিয়ের দাওয়াত♣♥


                                       ♥♣বিয়ের দাওয়াত♣♥
                                                                                                    মোঃমাসুদ রানা
                                                                                                (সত্য ঘটনা অবলম্বনে)                                       
                         ==========================================
বন্ধুরা আজ আপনাদের আমার জীবনে ঘটে যাওয়া এক মজার কাহেনী শুনাব।আসা করি না হেসে থাকতে পারবেন না।
২০০৯সাল-আজ শুক্রবার।আমারা ৩ বন্ধু আমি,প্রতিক, প্রিন্স। সকাল ৮ টায় বাসা থেকে বের হইছি একটা পরীক্ষা ছিল স্যারের(আবির ভাই) কাছে ।
তো পরীক্ষা শেষ হয় ১১টা দিকে।রাস্তা দিয়ে হাটছি আমরা। প্রচুর ক্ষুদা পাইছে আমাদের ৩ জনের। প্রতিকের আর একটা বন্ধু এসে আমাদের সাথে যোগ দিলো। আমি তাকে চিনি না।
তার সাথে পরিচয় হলাম। তার নাম রাফি। এই সামান্য পরিচয় এ আমরা রাস্তা দিয়ে হাটছি। এখন ১১টা ৩০ বাজে।
।আমরা উত্তরার সোনার গাও জনপথ দিয়ে হাটছি। এমন সময় প্রতিক এর নজরে এক CUMMINUTY CENTRE পরলো।
যেখানে মানুষ ভিতরে প্রবেশ করছে।তো প্রতিক আমাদের সবাইকে ঐ CUMMINUTY CENTRE কথা বলে।আমরা ভাবলাম আজ বিয়ের কোন অনুষ্ঠান হবে।
একদিক দিয়ে আমাদের পেটে অনেক ক্ষুধা লাগছে।প্রিন্স তো বলেই ফেলল চল আজ পেট ভোজন একটা দিয়ে আসি বিনা টিকেটে।
প্রতিক আর রাফি তো রাজি হয়েই গেল।আমি বার বার না করতেছি কারন যদি ধরা খায়, পরেতো আবার বড় বড় পাতিল ধুতে হবে।
শেষ-মেশ ওদের কথায় রাজি হলাম।মসজিদে আযান দিচ্ছে।তাই সবাই ঠিক করলাম নামায পড়ে তারপর CUMMINUTY CENTRE ঢুকবো।
নামায এ মোনাজাতে প্রিন্স আর প্রতিক এর দোয়া করা শুনতেছি।তারা দোয়া করতেছে আল্লাহ আজ যেন বিনা টিকেটের দাওয়াতে ভালভাবে খেতে পারি ধরা যেন না খাই,আল্লাহ আমাদের দোয়াটা কবুল কর।জানি না আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করল কিনা।
নামায পড়া শেষ। CUMMINUTY CENTRE ঢুকার পালা।খুব ভয় ভয় লাগছিল সবার।আমরা ভিতরে ঢুকলাম দেখি অনেক গুলা চেয়ার আর টেবিল ভাল করে সাজানো।
প্রতিটা টেবিল এ ৫ টা করে চেয়ার ছিল।তো আমরা বসে পরলাম।আমাদের সাথে একটা UNCLE বসল তার ছোট একটা ছেলে নিয়ে।আমরা খাওয়া START করলাম। UNCLE কে প্রতিক খাবাড় বেড়ে দিচ্ছে। আমি প্রতিক কে উদ্দেশ্য করে বললাম আরে প্রতিক UNCLE কোথায়?
প্রতিক বলল আব্বুতো নিচে অনান্য UNCLE সাথে কথা বলছে।ও আচ্ছা ঠিক আছে।
চোখের সামনে শুধু পোলাও,রোস্ট,গরুর মাংস,বোরহানী,আরও কত কি।
আমরা ভাল করে আমাদের পেট ভোজন করলাম।হাত ধুতে চলে গেলাম আমরা।কিন্তু রাফি কে খুজে পাচ্ছি না।কোথায় গেল?
তো যাই হোক এখন যার অনুষ্ঠান তাকে তো দেখা উচিত মানে বউ কে দেখতে হবে।
অনেক লোক ছিল ভিতরে।তো আমরা বউ দেখতে চললাম বউ কোন ঘরে আছে সে ঘর খুজতে লাগলাম ।
আমিতো প্রায় কাউকে জিজ্ঞাস করেই ফেলছিলাম ভাই বউ এর ঘর কোনটা?
কিন্তু আমরা কোন পক্ষের এ কথা ভেবে আর আর কাউকে জিজ্ঞাসা করি নাই আমি।
আমরা যখন বউ এর রুমে ঢুকলাম এবং যা দেখলাম তা দেখে আমাদের ৩ জন একজন অপর জনের দিকে তাকালাম।
একটা পিচ্চি ছেলে বউ এর জায়গায় বসে আছে।
।তখন সবাই বুঝতে পারলাম পিচ্চির সুন্নতি খাৎনার দাওয়াত এটা।
এখন ভাবুন আমি যদি জিজ্ঞাসা করেই ফেলতাম বউ কোন ঘরে আছে তো কি হতো?
আর যাই কোথায় আর এক মূহর্ত দেরি না করে নিচের দিকে দিলাম ভোঁ দোর।
নিচে যেতেই দেখি বড় ছাগল রাফি দাঁড়িয়ে আছে।
প্রতিক মাথায় একটা চাপড় দিয়ে বলল শালা আমরা মরি বিয়ের দাওয়াত খেয়ে আর তুই নিচে দাড়িয়ে আছিস।
রাফি তখন এক কথায় বলল “আমরা খায় দায় আর উঢি চলি যাই”
পরে বুঝলাম রাফি নোয়াখাইল্লা।
==============================================================================================
কেমন লাগল আমার জীবনের এই ঘটনাটা,ভাল লাগলে LIKE ও COMMENT করুন।
(উৎসর্গঃ আমার ৩ বন্ধুকে প্রতিক,প্রিন্স,রাফি)
Writer and Addmin>>>>> মোঃ মাসুদ রানা
বিদ্রঃ বন্ধুরা আপনারা যদি আমাদের পোস্ট গুলোতে নিয়মিত LIKE না দিন তো গল্প লিখতে উৎসাহিত  হতে পারিনা। আর আমাদের পোস্ট গুলো যদি নিয়মিত লাইক না দিন তো আপনার হোম পেইজ এ আমাদের পোস্ট গুলো হাইড হয়ে যায়।

¤¤[আমার প্রথম মিষ্টি ভালবাসা]¤¤

                                     ¤¤[আমার প্রথম মিষ্টি ভালবাসা]¤¤
                                                                                                      মোঃমাসুদ রানা
                            =========================================
আমার নাম আবির। প্রতি দিন ঘুম থেকে দেরি করে উঠি। কিন্তু আজ খুব সকালে উঠে পরেছি। সকাল সকাল খালা আম্মার ডাকে আমার ঘুম ভাঙ্গে। কেননা আজ আমার VERSITY তে প্রথম ক্লাস। তাই ব্রাশ এ পেস্ট  নিয়ে ছুটলাম বাথরুম এ। আধ ঘন্টার ভিতরে আমি তৈরী হয়ে গেলাম। সামান্য কিছু নাস্তা করে আমি ছুটলাম VERSITY এর উদ্দেশ্য। উত্তরা বাস স্টপ এ দাঁড়িয়ে আছি বাসের জন্য। আমার খুব EXCITING  লাগছে । BRTC বাসে উঠলাম। ৩০ মিনিট এর ভিতরে আমি বনানি পোছে গেলাম। কেননা সকালে রাস্তায় জ্যাম থাকে না। আমার VERSITY নাম SOUTH EAST UNIVERSITY । ক্লাসে ঢুকি। এসে দেখি ৩ জন ছেলে বসে আছে। তাদের একজন এর মধ্যে হাত বাড়িয়ে তার পরিচয় দিল। বাকি ২ জন এর সাথে পরিচয় হলাম। এখন কিছুটা ভাল লাগছে। কিছুক্ষনের ভিতরে সবাই চলে আসল। স্যার আসলেন ক্লাসে। আমি সবার সামনের বেঞ্চ এ বসেছি। সবার সাথে পরিচয় হলেন। এমন সময় হঠাৎ করে একটা মেয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বললো...........আসতে পারি স্যার?
স্যার হ্যাঁ বলল।
ক্লাসে সব গুলো বেঞ্চ আমার বেঞ্ছটা ছাড়া ফাঁকা ছিল না।
তাই মেয়েটা এসে আমার পাশেই বসলো। ক্লাস শেষে মেয়েটার সাথে আমার পরিচয় হল।মেয়েটার নাম রোদেলা।
ছেলেদের মাঝে আমার ২ বন্ধুর সাথে খুব ভাল সম্পর্ক হলো তাদের নাম আর্জুন ও রনি।
প্রতিদিন ক্লাসে মেয়েটার সাথে কথা বলতে বলতে একসময় আমাদের মাঝে বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। এর পর মোবাইলে কথা বলা শুরু হলো। ধীরে ধীরে আমাদের সম্পর্কটা ভাল হতে লাগল। এক সময় মনে হল মেয়ে টাকে আমি ভালবেসে ফেলেছি। রাতে আর ঘুমাতে পারিনি। কিভাবে তাকে বলব তাকে আমার মনের কথা। সকাল সকাল READYহয়ে VERSITY চলে আসলাম। এমন সময় আমার ২ জন বন্ধুর ১জন আর্জুন এসে আমাকে বলল যে সে রোদেলা ভালবাসে। বুঝতে পারতেছিনা ওকে কি বলবো। আর্জুন আমাকে বলে তুই রোদেলা আমার ভালবাসার কথাটা জানাবি। খুব খারাপ লাগছে। এমন সময় রোদেলা এসে আমার পাশে বসলো। আর্জুন চলে গেল। আমার মন খারাপ দেখে রোদেলা জানতে চাইলো কি হইছে আমার? কি করে বলবো আমার কষ্টের কথা। যাই হোক আর্জুন আমার ভাল একটা বন্ধু। তাই নিজের কথা না বলে আর্জুন এর কথাটা বললাম। আমার আর একটুও ভাল লাগতেছে না। তাই ক্লাস না করে বাসায় চলে আসলাম। চোখ দিয়ে যে কখন পানি পরছে তা আর লক্ষ্য করলাম না। বাসায় মন খারাপ করে বসে আছি এমন সময় খালাআম্মা আমাকে ঢেকে জিজ্ঞাসা করল কি হইছে আমার। কিছু না বলে মুখটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে শুয়ে রইলাম।আজ ৭ দিন ধরে আমার মোবাইল বন্ধ। হঠাৎ নিচে শুনতে পেলাম একটা ছেলে ও মেয়ের গলা। খালাআম্মা আমাকে ডাকছেন। আমি উঠার আগেই আমার ঘরে আর্জুন আর রোদেলা প্রবেশ করলো। শত কষ্ট হচ্ছে তাদের দেখে মনের ভিতরে।
এমন সময় আর্জুন আমাকে জিজ্ঞাসা করল কিরে কি হইছে তোর। VERSITY তে আসিস না কেন?ভাবছিলাম বনবাসে চলে গেছিস।
রোদেলা চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। কিছু বলছে না।
আর্জুন আমাকে বলল আর কত লুকাবি মনের কথা।
আমিই তোদের মাঝে এসেছিলাম এক পশলা কাল মেঘের মত।
কিন্তু জানতাম না তোকে রোদেলা অনেক ভালবাসে। সত্যিই মেয়েটা তোকে অনেক ভালবাসে। কথা দে কোনদিন কষ্ট দিবি না ওকে।
এই কথা বলে আর্জুন আমাকে আর রোদেলাকে একা রেখে নিচে চলে গেল।
আমি নিচের দিকে তাকিয়ে আছি। কি বলবো, আমার পাশে রোদেলা বসলো।
রোদেলা বলল একবারও কি বুঝতে পারলেনা আমার মনের কথা।
যাক তোমার মত IDIOT কে আর বলতে হবে না।
আমিই বলছি “I LOVE U”
আমার হাতটা কখনও ছাড়বে না তো।
আমি বললাম জীবনের শেষ সময়টা পর্যন্ত এই হাতটা আমি ছাড়বনা।
রোদেলা আমিও তোমাকে অনেক ভালবাসি।
রোদেলা আমার চুলটা টেনে ধরে বলল এই কথাটা বলতে এতো সময় নিলে ............আমাকে মারতে শুরু করল।এখনও সে আমাকে মারে ঐ কথাটা মনে হলে।।
এভাবে চলতে থাকলো মিষ্টি এই প্রেমের কাহেনী...........................
                                               ¤¤¤¤ চলবে¤¤¤¤
=============================================================================================================
Writer and Addmin>>>>> মোঃ মাসুদ রানা
বিঃদ্রঃ বন্ধুরা আপনারা যদি আমাদের পোস্ট গুলোতে নিয়মিত LIKE না দিন তো গল্প লিখতে উৎসাহিত  হতে পারিনা। আর আমাদের পোস্ট গুলো যদি নিয়মিত LIKE না দিন তো আপনার HOME PAGE এ আমাদের পোস্ট গুলো হাইড হয়ে যায়।

ভালোবাসা মোরে বানিয়েছে "goওড boy"...

ভালোবাসা মোরে বানিয়েছে "goওড boy"...
by জয় রাজ খাঁন !!

এখন শীতকাল তাই প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বেটমিনটন মাঠে যেয়ে বন্ধুরা আড্ডা দেই আজ সকালেও ঘুম থেকে উঠে মাঠে গিয়ে বসেছি, একটু পর পাড়ার এক ছোট ভাই এসে বলল ...
নাইমঃ জয় ভাই, পাঁশের এলাকায় একটা বাড়িতে খুব সুন্দর সাদা গোলাপ ফুল গাছ দেখে এলাম, ভাই বিশ্বাস করেন এমন সাদা গোলাপ আমি জীবনেও দেখি নাই, ভাই গাছ টা এনে আপনার বাসার বাগানে লাগাইয়া দেই?
আমিঃ বললাম ফুলটা সুন্দর হলে তোর ভাবি কে ঐ গাছ টা গিফট করব, তোরা কয়েক জন গিয়ে নিয়ে আয় গাছটা...
তখন নাইম, সজল, সাদিক ওরা গিয়ে গাছটা চুরি করে এনে আমার বাসায় রেখে গেলো আমি আমার gf কে ফোন করলাম...
আমিঃ বুড়ি কি করো?

gfঃ কিচ্ছু করি না, মনটা খুব খারাপ...আব্বু আমার জন্মদিনে যেই White Rose গাছটা আমায় গিফট করেছিলো ওটা চুরি হয়ে গেছে
আমিঃ হায়!! বলো কি? আমার বউ এর ফুল গাছ চুরি হয়ে গেছে?? তুমি মন খারাপ করোনা আমি দেখছি কার এতো বড় সাহস যে আমার বউ এর ফুল গাছ চুরি করলো (বস চুরি যে আমি করাইছি কাওকে বলিয়েন না কিন্তু??)

আমি ফোন রেখে সবাইকে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম, তোরা কোন বাড়ি থেকে গাছটা চুরি করছস?? ওরা বলল ভাই ঐ দিকে স্কুলের সামনের বাড়িটা থেকে...
আমি বললাম ফাজিল গুলা করছস কি? ঐটা তোদের ভাবির বাড়ি, তাড়াতাড়ি চল ওর গাছ ফিরিয়ে দিয়ে আসবি, তার পর ওদের নিয়ে গেলাম, গিয়ে আমার gf কে ফোন করে গেটের সামনে আসতে বললাম ও এলো এসে আমার হাতে ফুল গাছ দেখে খুশি হয়ে একটা মিষ্টি করে হাসি দিল... তার পর আমি বললাম এই ফাজিল চোর গুলো তোমার ফুল গাছ চুরি করে ছিল... এটা বলতেই সব গুলো বলল ভাবি আমাদের ভুল হয়েগেছে মাফ করে দেন, আর জিবনেরও চুরি করবো না...... (ইস!! মাত্র হিরো হতে যাচ্ছিলাম আর আমাদের এডমিন "মাসুদ রানা" র ফোনে স্বপ্নটা ভেঙ্গে গেলো... এই স্বপ্ন ভাঙ্গার শাস্তি কি ভাই Dear Members আপনারাই বলুন?...)

(ভাই/বোনেরা আজ ঘুমে এটাই স্বপ্নে দেখেছি, এই কথা কাওকে বলিয়েন না কিন্তু, বউ জানলে মারবে তো !!!)

<3 জয় রাজ খাঁন <3