আমাদের ফেসবুক পেজে জয়েন করুন http://www.facebook.com/vhalobashar.golpo

মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৩

মেঘ বৃষ্টি

মেঘ বৃষ্টি লিখেছেনঃ-মুহাম্মদ ইফাজ হাসবুল্লাহ

মোতাহের সাহেব বিছানায় আধশোয়া হয়ে আছেন, মুখে রাজ্যের মেঘ জমে আছে, যেকোন মুহুর্তেই বজ্রপাতসহ বর্ষন শুরু হতে পারে। ঘুম থেকে উঠেইতার চা চাই, একটু দেরি হলেই চিতকার চেচামেচি শুরু করে দেন। সকালে তার মেজাজ এম্নিতেই একটু চড়া থাকে, তাই মনিরা আগেভাগেই চা রেডি করে রাখে। কিন্তু আজ অনেক্ষন হয়ে গেল চা এর নাম গন্ধ ও নেই। মোতাহের সাহেব রাগেফুসছেন, চিত্কার দেয়ার জন্য মুখ খুলেছেন সবে ঠিক তখনি মেঘ এর প্রবেশ।
.
মেঘ হল মোতাহের সাহেবের একমাত্র ছেলে। খুবই শান্ত ভদ্র ছেলে। এবার ইন্জিনিয়ারিং পাশ করে বের হল, বর্তমানে বেকার।
.
বাবা, তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
.
কি বলবি দ্রুত বল, তারপর তোর মাকে বলচা দিতে।
.
আমি বিয়ে করব।
.
কী করবি?
.
I want to marry, my dear father.
.
মোতাহের সাহেব ঠিক প্রস্তুত ছিলেন না , থতমত খেয়ে গেলেন,মেয়ে কি করে?
.
মেয়ে না বাবা ছেলে।
.
মানে? বাপ আমার তুই কি পাগল হয়ে গেলি ?
.
No dad, I am absolutely alright
.
মোতাহের সাহেব বুক চেপে ধরে ককাতে লাগলেন,একি বলছিস তুই, আহ! আহ!
.
বাবা, তুমি আবার ডান দিকে হাত দিয়েছ । তোমাকে না বলেছি হার্ট বামদিকে থাকে। ঠিক করে অভিনয় করতেও পারনা!
.
.
মোতাহের সাহেব প্রতিবারের মত এবারোধরা পড়ে গেলেন, তার ছেলের সাথে কিছুতেই পেরে উঠেন না,মেঘ , তুই আর যাই করিস একাজ করিস না বাবা। সমাজে আমি মুখ দেখাতে পারবনা।
ঠিক সেই মুহুর্তেই মুনিরা চা নিয়ে ঢুকলেন । মাকে দেখেই মেঘ রুম থেকে বেরিয়ে গেল। মোতাহের সাহেব সেদিকেহতভম্ব হয়ে চেয়ে রইলেন।
.
চা নাও, কি ব্যাপার আজ একেবারে চুপচাপ। কোনো সাড়াশব্দ নেই।
তোমার ছেলে কি বলেছে শুনেছ, সে নাকি বিয়ে করবে, তাও একটা ছেলেকে।
সেকি, এগুলো কি বলছে! পাগল হয়ে গেল নাকি? বিলাপ শুরু করে দিল মুনিরা।
আরে রাখ তো এসব। ছেলের বিয়ের বয়স হয়েছে, এমন পাগলামি করবেই।
কিন্তু তাই বলে একটা ছেলে কে কেন?
নাহ, ওকে দ্রুত বিয়ে দিতে হবে।
এই শুনছ , আমাদের পাশের বাসায় বৃষ্টি নামের একটা মিষ্টি মেয়ে আছে, মেঘ এর জন্যে কথা বলে দেখব নাকি?
তুমি যা করার কর, শুধু একটা মেয়ে হলেই চলবে। একে বিয়ে না দিয়ে আর শান্তি পাচ্ছিনা।
.
***
.
তিন মাস পর, মেঘ বৃষ্টির বিয়ে আজ। আকাশে মেঘের ঘনঘটা, মুষুলধারে বৃষ্টি হচ্ছে । দুই জনই চরম খুশি। দীর্ঘ ৫ বছরের প্রণয়ের মধুর সমাপ্তি ঘটল। মেঘ তার মায়ের কাছে কৃতজ্ঞ । মাকে সে আগেই বৃষ্টির কথা বলেছিল। কিন্তু মাঝে বেরসিক বাবা বেকে বসলেন। তাই এই ছোট অভিনয়্টুকু করতে হল।
.
.
.
রাত ৩ টা। হঠাত মোতাহের সাহেবের ঘুমভেঙে গেল। তুমুল বর্ষন হচ্ছে। এমনই এক দিনে মুনিরা তার ঘরে এসেছিল। সেদিন রাতেও বৃষ্টি হয়েছিল, তারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল। ভাবিতে ভাবতেই তিনি ছাদে চলে গেলেন।
হঠাত খেয়াল করলেন এক জোড়া কপোত কপোতি বৃষ্টিতে ভিজছে। আকাশের মেঘ গর্জে উঠ্ল, সেই আলোয় দেখতে পেলেন মেঘ ও বৃষ্টিকে।
আজ নিজেকে তার সার্থক মনে হচ্ছে। দুর হতে তিনি ভবিষ্যত প্রজন্মকে আশির্বাদ করে গেলেন।

(গল্প ভালো লাগলে কমেন্টস করে লেখকদের আরো গল্প দিতে উৎসাহিত করুন)
-কী? কেমন আছ তুমি?
-ভাল-ই।
-মন খারাপ নাকি?
-নাহ।
-সকালে খাও নাই?
-হুম ম ম ম।
-হুম ম ম ম কি?
-খায়ছি।
-তা হুম ম ম ম করার কী আছে?
-(দীর্ঘশ্বাস, পরে নিঃশ্চুপ)
-কী হল? কথা বলো না কেন?
-বলতেছি তো।
-কই কথা বলো? আমার সাথে নাকি অন্য কারো সাথে?
-তোমার।
-আমি কী তাহলে কালা নাকি তুমি বোবা দের ভাষায় কথা বল?
-না। কথায় বলতেছি।
-আচ্ছা বাদ দিলাম। এখন বল কী সিদ্ধান্ত নিলা?
-কী বলব?
-কী বলবা মানে? সিদ্ধান্ত কী?
- তুমি যা বলতেছ তা হয় না।
-কেন হয় না?আমি কী দেখতে খারাপ?
-না। তা না। আসলে তুমি যা, আমি তার সমান নয়।
-তোমার সমান না হলে ও চলবে। শুধু সমান ভাবে ভালোবেসো।
-আমি মনে হয় পারব না।
-তোমাকে পারতে হবে না। তুমি শুধু সারা জীবন পাশে থেকো। যখন আমি ক্লান্ত হব তখন তোমার বুকে আমার মাথা রাখার ঠাঁই দিয়ো।
-আমি কী পারব?
-অবশ্যই পারবা। এবার বল।
-কী বলব?
-গাধা! এইটা ও বলে দিতে হবে?
-হুম ম ম ভালোবাসি।
-কী, ভালোবাসি? বল আই লাভ ইউ।
-আই লাভ ইউ।
-আই লাভ ইউ টু।

এভাবেই শুরু হয় সমাজের চোখে অসম এক ভালোবাসার গল্প।যেখানে কিছু পাওয়ার চেয়ে এগিয়ে যাওয়ার যুদ্ধ বেশি।
 

লিখাঃ Duronto Shahin
মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ড কে কল দিয়ে বলছে তার সাথে রেস্টুরেন্ট এ দেখা করতে । বয়ফ্রেন্ড হ্যা বইল্লা দিল যে সে আসিবে।
মেয়ে আগে রেস্টুরেন্ট এ পৌছে গেছে , বয়ফ্রেন্ড কে কল দিচ্ছে বলছে এখনো আসনি, আর কত দেরি??
বয়ফ্রেন্ড- আসতেছি আর মাত্র ৫ মিনিট।(কিন্ত এখনো সে রেডি হয় নাই)
১৫ মিনিট পর,
মেয়ে- তোমার ৫ মিনিট হয় নাই। আজ আর আসতে হবে না।

ছেলে- আরে রাস্তায়, হ্যালো, হ্যালো (লাইন কেটে দিছে। ছেলেটা এখন বের হইছে)
১ ঘন্টা পর, ছেলে রেস্টুরেন্ট এ পৌছালো
ছেলে- জান ও জান আমার মন্টুস পাখি একবার আমার দিকে তাকাও।

মেয়ে- তুমি আমারে পাইছ কি আমি তোমার জন্য সবসময় অপেক্ষা করব আর তুমি দেরিতে এসে একটা একটা করে এক্সকিউজ দেখাবা?

ছেলে- জান আমি তো অনেক আগেই বের হইছি কিন্তু রাস্তায় জ্যাম ছিল। বুঝনা এইডা তো ঢাকার রাস্তা তাই না। গ্রামের রাস্তা অইলে তো আমি সুপার ম্যান অইয়্যা তোমার কাছে আইস্যা পরতাম।

মেয়ে- আমি আগেই জানতাম তুমি আইস্যা এই টাইপের হুতুবুতু করবা। তোমার এই গুলা হুতুবুতু আর ভালো লাগে না। তোমার এই জ্যাম রে কোনো দোকানে নিয়া বেইচ্চা দাও। নাম দিবা গাধা জ্যাম।

ছেলে- আমি হুতুবুতু করি তুমি কি কর? হুম তুমি কি কর? দুইদিন আগে আইস্যা পক পক করবা আমি যখন তোমার জন্য দিনের সূর্যের আলোয় খারাইয়্যা খারাইয়্যা সুন্দর চেহেরা ডা কালা বানাইয়্যা ফালাইছি ফর্সা হয়ার ক্রিম কি তুমি কিন্না দিবা??
তখন তো একটা কাজই পারো ৩২ টা দাত বার কইরা "ও সোনা তোমাকে দেখতে তো আজ হেন্ডসাম লাগছে।" হাহ।

মেয়ে- কি আমি পক পক করি। ৩২ টা দাত বের করে হাসি।তোমারে কালো বানিয়ে ফেলছি। ঠিক আছে আমার সাথে আর কথা বলতে হবে না দেখাও করতে হবে না।তুমি থাকো তোমার সুন্দর চেহেরা নিয়া।।

ছেলে- দেখা না করলে কি, (চুপ করে গেল কেননা মেয়েটাকে একদিনের জন্য না দেখে থাকতে পারে না)

মেয়ে- কি বলো, বলো না কেন??

দুইজন দুইজনের দিকে তাকিয়ে হেসে দিল,
মেয়ে- Sorry জান। আর তোমাকে রৌদ্দে দাড় করিয়ে রাখব না। একটু পর মার্কেটে গিয়ে তোমাকে "ফেয়ার এন্ড হেন্ডসাম" কিন্না দিব।

ছেলে- আমিও আর লেইট করব না আমার মন্টুস পাখি।Sorry !!
Sorry !! Sorry !!

মেয়ে- হইছে আর ডং করেতে হবে না।

ছেলে- কি আমি ডং করি?

*এইভাবেই চলে তাদের কিছু মিষ্টি জগড়া আর কিছু ভালোবাসা। —

লিখাঃ মাসুদ রানা (এডমিন)