আমাদের ফেসবুক পেজে জয়েন করুন http://www.facebook.com/vhalobashar.golpo

সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৩

" আজ নীলার বিয়ে "

" আজ নীলার বিয়ে "
লিখেছেনঃ যে ছেলেটি বিদ্যুতের বন্ধু

গিফটের প্যাকেট খুলেই কারেন্টের শক খেল নীলা !

চমৎকার একটা সবুজ শাড়ি । অসম্ভব একটা ভাল লাগা খেলে গেল সারা শরীরে ।

সাথে সাথেই ফোন দিল হাসিবকে । ...কিরে এটা কি পাঠিয়েছিস ? ক্যান, দেখিস নাই চোখ দিয়া ?! ...তোর পছন্দ এত ক্ষ্যাত মার্কা ক্যান রে ?! আর তুই জানিস না আমি শাড়ি পরতে পারি না ? মিছেমিছি টাকা গুলো নষ্ট করলি! তোর পছন্দ হয় নাই ? ...নাহ ! ঠিক আছে কষ্ট করে জানালা দিয়ে ফেলে দে তাহলে । ...পারব না কষ্ট করতে!

তাহলে কি করব এখন ?

( হেসে ) কিছু করতে হবে না । কট করে লাইনটা কেটে দিল নীলা ।

নীলার পছন্দের রং সবুজ! নাম নীলা আর পছন্দ করে সবুজ রং ! নীল রং একদম সহ্য করতে পারে না ও । নীল নাকি কষ্টের রং...আর সে কখনো কষ্ট পেতে চায় না । কষ্ট তো কেউই পেতে চায় না...মেয়েরা তো নয়ই ! ধুর! কি সব ভাবছে হাসিব । শুরু করেছিল শাড়ি থেকে ভাবনা গিয়ে ঠেকল কষ্টে! হাসিব ভাল করেই জানে শাড়িটা নীলার দারুন পছন্দ হয়েছে ।

শাড়িটা কিন্তু আমার দারুন পছন্দ হয়েছে! তুই কি পছন্দ করে কিনেছিস ?? ...না আম্মু কিনে পাঠিয়ে দিয়েছে । তুই না বললি তোর পছন্দ হয়নি ?! ইয়ার্কি মেরেছিলাম! তুই দেখি ইয়ার্কিও বুঝিস না ! হঠাৎ শাড়ি গিফট করলি...ঘটনা কি ? ...বিয়ের দিন পড়িস । বিয়েতে কেউ সবুজ শাড়ি পড়ে গাধা! ...তুই পরবি । ইতিহাস তৈরি করবি! আচ্ছা যা ! পরব !

আজ নীলার বিয়ে । লাল টকটকে শাড়ি পড়ে বসে আছে নীলা । সারা বাড়ি গিজগিজ করছে আত্মীয় স্বজনে । চুপচাপ শুধু নীলা । বাবা-মায়ের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করছে । বুয়েট থেকে পাস করা ইঞ্জিনিয়ার । কানাডায় সেটেলড । বিয়ের পর বউ নিয়ে সোজা কানাডায় চলে যাবে ।

নীলা হাসিবকে ভীষন পছন্দ করে । হয়তো হাসিবও । কিন্তু তা এখনো অপ্রকাশিত । কেউ কাউকে কিছুই বলেনি । নীলা আশা করেছিল হাসিব একদিন ঠিকই বলবে । কিন্তু আজো হাসিব কিছুই বলেনি ।

নীলা হাসিবকে কথা দিয়েছিল বিয়েতে সবুজ শাড়ি পরবে । ইচ্ছে করেই কথা রাখেনি নীলা । গাধাদেরকে দেয়া কথা না রাখলেও কোন ক্ষতি নেই!
প্রিয়াংকা তাড়াতাড়ি ভার্সিটি আসল। আসিফ ভার্সিটির বারান্দাতে হাটাহাটি করছে। প্রিয়াংকাকে দেখতে পেয়ে ডাক দিল।

-কি ব্যাপার, কলেজে আসতে বললি যে।
-তোর নোট খাতা ফেরত দিতে।
-আমি কি তোর কাছে চাইছি?
-না, তবে নিয়ে নে। পরে কিন্তু আর পাবি না।
-ক্যান? আজকাল নোট খাতা দিয়ে বিড়ি খাস নাকি?!!
-হাহাহা, আর বিড়ি খাই না। এখন বোতল ধরব ভাবছি।
-ধরে এমন পিটন লাগাব যে বুঝবি।
-মারিস না, মারিস না। মার খেয়ে মরে গেলে কি করবি তখন?
-ধূর বাদ দে। নোট খাতা দেওয়ার জন্যে তো আসতে বলিস নি। এখন আসল কারণ বল।
-নোট খাতা দেওয়ার জন্যও ডাকছি। কাল নিউ-ইর্য়ক যাচ্ছি। তাই তোর সাথে দেখাও করে নিলাম।

প্রিয়াংকা বুঝতে পারল, আসিফ ফাজলামি করছে না। সে ফাজলামি করলে মুখে হাসি থাকে। এখন কেমন সিরিয়াস হয়ে আছে। প্রিয়াংকা বলল,

-আগে বলিসনি কেন?
-তুই যদি মন খারাপ করিস তাই।
-আমি মন খারাপ করব কেন? ভাল খবর তো।
-ও
-শুধু ও করিস না। গিয়ে ভাল করে পড়া, লিখা করবি। সারাদিন ঘোরাঘুরি করলে লাড্ডু খাবি।
-হুমম। -আর মেয়েদের পিছনে ঘুরবি না। ভাল করে খাওয়া-দাওয়া করবি। ঠিক আছে?
-আমি তো মেয়েদের পিছনে ঘুরি না।
-জানি। তাও বলে দিলাম।
-তুই ও ভাল থাকিস।
-হুমম। কখন রওনা দিবি?
-আর ২ ঘন্টা পর।
-আচ্ছা যা, গুড লাক।

প্রিয়াংকাকে ফেলে আসিফের যেতে কেমন যেন লাগছে। আর একটু যদি বসে থাকা যেত! প্রিয়াংকাকে অনেক মিস করবে সে। খুব ভাল একটা বন্ধু। মাঝে মাঝে বন্ধুর চেয়েও বেশী মনে হয়। মনে হচ্ছে সব ছেড়ে ফেলে প্রিয়াংকার হাত ধরে দূরে কোথাও চলে যায়। যেখানে আর কেউ আসবে না। কিন্তু তা সম্ভব নয়। মাঝে মাঝে তার মনে হয় কেন এসব শুধু গল্পেই সম্ভব? বাস্তবে হলে কি খুব এটা ক্ষতি হত?

এরকম হল কেন? আসিফ চলে গেলে প্রিয়াংকা কি করবে? আর কি সেই সব দিন আসবে! কত মজা করেছে তারা। এই ক্যাম্পাস ঘিরে অনেক স্মৃতি। প্রিয়াংকার কাছে সব কিছু খাপ-ছাড়া লাগছে। কেমন যেন এলোমেলো। আর একবার আসিফের হাতটি ধরে বেড়াতে ইচ্ছা হচ্ছে। মনে হচ্ছে ছুটে গিয়ে আসিফকে আটকায়। কিন্তু প্রিয়াংকা জানে এটি সম্ভব নয়।

আকাশটা আজ মেঘে ভরপুর। খুব বাতাস হচ্ছে। বৃষ্টি হবে মনে হয়। বেশী বাতাস প্রিয়াংকার চোখে লাগলে বড় বড় পাপড়িগুলো কাঁপে। মাঝে মাঝে চোখে পানিও আসে। এখন প্রিয়াংকার চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। প্রিয়াংকা চাচ্ছে বৃষ্টিটা শুরু হোক। তার চোখও ভিজুক। যেন কেউ কিছু বুঝতে না পারে...

লিখেছেনঃ প্রিয়াংকা তাড়াতাড়ি ভার্সিটি আসল। আসিফ ভার্সিটির বারান্দাতে হাটাহাটি করছে। প্রিয়াংকাকে দেখতে পেয়ে ডাক দিল।

-কি ব্যাপার, কলেজে আসতে বললি যে।
-তোর নোট খাতা ফেরত দিতে।
-আমি কি তোর কাছে চাইছি?
-না, তবে নিয়ে নে। পরে কিন্তু আর পাবি না।
-ক্যান? আজকাল নোট খাতা দিয়ে বিড়ি খাস নাকি?!!
-হাহাহা, আর বিড়ি খাই না। এখন বোতল ধরব ভাবছি।
-ধরে এমন পিটন লাগাব যে বুঝবি।
-মারিস না, মারিস না। মার খেয়ে মরে গেলে কি করবি তখন?
-ধূর বাদ দে। নোট খাতা দেওয়ার জন্যে তো আসতে বলিস নি। এখন আসল কারণ বল।
-নোট খাতা দেওয়ার জন্যও ডাকছি। কাল নিউ-ইর্য়ক যাচ্ছি। তাই তোর সাথে দেখাও করে নিলাম।

প্রিয়াংকা বুঝতে পারল, আসিফ ফাজলামি করছে না। সে ফাজলামি করলে মুখে হাসি থাকে। এখন কেমন সিরিয়াস হয়ে আছে। প্রিয়াংকা বলল,

-আগে বলিসনি কেন?
-তুই যদি মন খারাপ করিস তাই।
-আমি মন খারাপ করব কেন? ভাল খবর তো।
-ও
-শুধু ও করিস না। গিয়ে ভাল করে পড়া, লিখা করবি। সারাদিন ঘোরাঘুরি করলে লাড্ডু খাবি।
-হুমম। -আর মেয়েদের পিছনে ঘুরবি না। ভাল করে খাওয়া-দাওয়া করবি। ঠিক আছে?
-আমি তো মেয়েদের পিছনে ঘুরি না।
-জানি। তাও বলে দিলাম।
-তুই ও ভাল থাকিস।
-হুমম। কখন রওনা দিবি?
-আর ২ ঘন্টা পর।
-আচ্ছা যা, গুড লাক।

প্রিয়াংকাকে ফেলে আসিফের যেতে কেমন যেন লাগছে। আর একটু যদি বসে থাকা যেত! প্রিয়াংকাকে অনেক মিস করবে সে। খুব ভাল একটা বন্ধু। মাঝে মাঝে বন্ধুর চেয়েও বেশী মনে হয়। মনে হচ্ছে সব ছেড়ে ফেলে প্রিয়াংকার হাত ধরে দূরে কোথাও চলে যায়। যেখানে আর কেউ আসবে না। কিন্তু তা সম্ভব নয়। মাঝে মাঝে তার মনে হয় কেন এসব শুধু গল্পেই সম্ভব? বাস্তবে হলে কি খুব এটা ক্ষতি হত?

এরকম হল কেন? আসিফ চলে গেলে প্রিয়াংকা কি করবে? আর কি সেই সব দিন আসবে! কত মজা করেছে তারা। এই ক্যাম্পাস ঘিরে অনেক স্মৃতি। প্রিয়াংকার কাছে সব কিছু খাপ-ছাড়া লাগছে। কেমন যেন এলোমেলো। আর একবার আসিফের হাতটি ধরে বেড়াতে ইচ্ছা হচ্ছে। মনে হচ্ছে ছুটে গিয়ে আসিফকে আটকায়। কিন্তু প্রিয়াংকা জানে এটি সম্ভব নয়।

আকাশটা আজ মেঘে ভরপুর। খুব বাতাস হচ্ছে। বৃষ্টি হবে মনে হয়। বেশী বাতাস প্রিয়াংকার চোখে লাগলে বড় বড় পাপড়িগুলো কাঁপে। মাঝে মাঝে চোখে পানিও আসে। এখন প্রিয়াংকার চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। প্রিয়াংকা চাচ্ছে বৃষ্টিটা শুরু হোক। তার চোখও ভিজুক। যেন কেউ কিছু বুঝতে না পারে...

লিখেছেনঃ Sadik Awal

কদম ফুলের ভালোবাসা

কদম ফুলের ভালোবাসা
লিখেছেনঃ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (Snigdha Munira)

জানালার কাছে দাড়িয়ে আনমনে কি যেন ভাবছে নিহা, তখন ফোনটা কেপে উঠলো আর ওমনি নিহার মনে হলো আরে আমি তো চেট করছিলাম। অনেক গুলো নক কিন্তু কাউকে রিপলাই দিতে মন চাইলোনা। হঠাত্‍ চোখ গেলো এক অজানা মানুষের মেসেজ এ, মনে কেমন যেন দোলা দিয়ে গেল মেসেজটা।

কে এটা ! আমাকে চিনে নাকি ! এইসব ভাবতে ভাবতে কথা শুরু হল সেই আজনাবীর সাথে।

এরপর থেকে প্রতিদিন মেসেজ চালাচালি হয়। নিহার তো আইডিতে হাজার টা ছবি কিন্তু রেজার একটা ও নাই। নিহা প্রতিদিন বলে একটা ছবি দাও না দেখি। রেজা ও ওকে নাচিয়ে মজা পায়। এইভাবে চলতে চলতে কখন যে দুজনের মন এক হয়ে গেলো তা টেরই পেলো না নিহা। যখন বুঝতে পারলো তখন নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার অন্তিম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু রেজাও নাছোড়বান্দা। ও নিহাকে বলল," তুমি নিজের কাছ থেকে আর কতো পালিয়ে বেড়াবে, শুধু একবার বলে দাও আমাকে ভুমি ভালোবাসো না, আমি কথা দিচ্ছি আমাকে তুমি এই জীবনে আর দেখবে না"। নিহা বলে,"না তোমাকে শুধু বন্ধু ভাবি আর কিছু নাহ"। এইভাবে কেটে যায় আর ও একটি মাস।

একসময় নিহা নিজের কাছে হেরে গেলো আর রেজাও তার জবাব পেয়ে গেলো। সবাই ভালোবাসার মানুষকে দেয় লাল গোলাপ, রেজা সবসময় নিহাকে কদম ফুল দিত। প্রেমে পরলে যেমন পাগল হয় সবাই সেইরকম পাগল ছিল দুইজন। ভালোই কাটছিলো দিনকাল হঠাত্‍......

একদিন রেজা বলল তার বাবা তাকে জোর করে লন্ডন পাঠিয়ে দিচ্ছে পড়তে। কথাটা শোনার পর যেন নিহার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরল। রেজাও অপারগ, দুই মাস পর যাবে । রেজা এই দুইটা মাস যতটুকু সময় পারতো নিহার সাথেই কাটাতো । যেই দিনটা কেউ চায়নি অবশেষে সেই দিনটি চলে এলো অর্থাত্‍ রেজার যাবার দিন।

নিহা ঠিক করলো হাসিমুখেই বিদায় দেবে, নিজের যত কষ্ট ই হক। সবাই মিলে রেজাকে বিদায় দিয়ে চলে এলো আর নিহা সারাটা পথ শুধু কাদঁলো। বাসায় এসেও সে কাদছে এমন সময় ফোনটা বেজে উঠলো নিহা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে বলল," তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে আসো নাইলে কিন্তু কদম ফুল আরেকজন কে দিয়ে দেব"। নিহা খুশিতে নাচতে নাচতে নিচে গেলো সবার সামনেই রেজাকে জড়িয়ে ধরল . . . . .