ღভালোবাসা দিবসেღ
লিখেছেনঃ Ami Sopnil
এই দিশা কোথায় ছিলি? স্কুল তো অনেক আগেই ছুটি হয়ে
গেছে! মা রাফার সাথে ছিলাম, ওর কিছু বই কেনার দরকার ছিল, কিনতে গিয়ে লেট হয়ে
গেল, জবাব দেয় দিশা। যদিও মাকে মিথ্যা বলতে হল। মাকে তো বলা যায় না যে অভির
সাথে ছিলাম। আজ ভালোবাসা দিবস কোথাও একটু ঘুরতে যাব তা না, বাসায় বসে কাটাতে
হবে। ভাগ্যিস আজ স্কুল খোলা ছিল নয়ত অভির সাথে দেখাই হত না। আর না দেখা হলে
ওর ৩ রাতের ঘুম নাই হয়ে যেত আর আমাকেও ওর কথা ভেবে জেগে থাকতে হত। ইস যদি
গল্প করা যেত সারারাত কি মজাই না হত। কিন্তু ওর এস এস সি পরীক্ষা চলছে আর
রাতে কারো সাথে কথা বলি শোনলে বাবা এমন বকা দিবে,আফসোস করে দিশা। আজ তার মন
অনেক অনেক ভালো, অভির সাথে দেখা হল, এক সাথে আইসক্রিম খাওয়া হল। আচ্ছা
আইসক্রিম তো প্রায়ই খায় কিন্তু আজকের মত এত ভালো তো লাগেনি কোনদিন?
ভালবাসার মানুষটা সাথে থাকলে চারপাশ এমন রঙ্গিন হয় কেন? সব কিছুকেই ভাল
লাগে, আচ্ছা এই সুখ কি সারাজীবন থাকবে? ভাবে দিশা। অভি তার পকেট মানির টাকা
থেকে ওর জন্য গিফট এনেছে আজ।প্যাকেট তা খুলতে চাইলে সে বলে বাসায় নিয়ে
দেখো। পছন্দ না হলে আমার খুব খারাপ লাগবে। খুশিতে জড়িয়ে ধরল অভিকে,কখন যে
অভির গালে চুমো বসিয়ে দিল টেরই পেলনা দিশা। তাকিয়ে দেখে লজ্জায় লাল হয়ে আছে
অভি, দিশার দিকে তাকাতেই পারছে না। উফ অভি কে নিয়ে আর পারা গেল না, ছেলেটা এত
লাজুক। এই শোন এটা তোমার ভ্যালেন্টাইন গিফট, আর হা এই গিফট এর সাথে কিছু
চকলেট ফ্রি আছে নাও, বলে দিশা। এখন আমাকে যেতে হবে নইলে মা চিন্তা করবে। চলে
আসার সময় খুব খারাপ লাগছিল দিশার, মনে হচ্ছিল কি যেন ফেলে আসছে সে, অভির অনেক
প্লান ছিল দিনটা ঘিরে। কিন্তু কি আর করা। রুমের দরজা লাগিয়ে প্যাকেট টা
খুলল দিশা, দেখে তিন সেট কাচের চুড়ি, কাজল, এক জোড়া নূপুর আর একটা ভয়াবহ
সুন্দর ছোট আয়না। আয়নার উপর তাকাতেই নিজেকে দেখতে পেল সে, ভাল করে তাকাতেই
দেখল ছোট করে লেখা সরি দিশা তোমার চেয়ে সুন্দর কিছু খুঁজে পেলাম না । দেখে
দিশা বিশ্বাস ই করতে পারছিল না অভি এত রোমান্টিক একটা ছেলে। ওকে এত
ভালবাসে। কান্না চলে আসে তার। ফোনটা হাতে নেবার সাথে সাথেই কাকতালীয় ভাবে
অভির ফোন আসে, হ্যালোর জবাব না দিয়েই দিশা পাগলের মত বলতে থাকে আই লাভ ইউ
অভি। আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি...।
unpublished!!