আমাদের ফেসবুক পেজে জয়েন করুন http://www.facebook.com/vhalobashar.golpo

বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৩

বৃষ্টি ভেজা মেঘ

বৃষ্টি ভেজা মেঘ
লিখেছেনঃ odhora chowdhury meghla (আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন)

সকাল সাতটায় টিউশন,ধ্যাত…এটা কোনটাইমিং হলো?মেঘের মেজাজ প্রচন্ড খারাপ|কারন সে কখনোই তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে পারেনা|ছয়টা পঞ্চাশ বাজে|ফোনে ৪৩টা মিসকল,ঘুমের ঘোরে কেবল চোখ খুলে তাকালসে|নিজের উপর নিজেরি রাগ লাগছে ওর|কেন যে কাল রাতে ফোনটা সাইল্যান্ট মুড করেছিল সে!!

যাব নাকি যাবনার দোটানায় জলদি করে ব্রাশ করে,কলেজ ড্রেস পড়ে তৈরী হয়ে নিল সে|সাতটা দশ বেজে গেছে|ওদিকে আবার টুপটাপ বৃষ্টি|গাধাটার উপর আবার রেগে আছে মেয়েটা|তার গাধা?মানে হচ্ছে শ্রাবন|গত পরশুদিন রাতে শ্রাবনের
ফোন ওয়েটিং ছিল|তাই সর্বশেষ বত্রিশ ঘন্টায় একবারো গাধাটার সাথে কথা বলেনি সে| মনে মনে ভাবে ভাগ্যিস রাতে ফোনটা সাইল্যান্ট মুডে রেখেছিলাম,নাহলে কি রাগটা ধরে রাখতে পারতাম? নাকি ফোনটা রিসিভ না করে থাকতে পারতাম?

ছাতাটা নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল সে|অলরেডি দশ মিনিট দেরি হয়ে গেছে| আজ রিক্সা ডেকে নিল … স্যারের বাসায় যেতে আরো দশ মিনিট!সর্বমোট বিশ মিনিট দেরি!| উহু আজোস্যার শুরু করে দিয়েছেন|তবে মন্দের ভাল এই যে সে পৌছুবার পর মুসলধারে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল|তার মানে আজ আর কলেজে যাওয়া হলনা|শ্রাবনের ঠিক সামনের সিটটা ফাকা|অগত্যা সেখানেবসে পড়ল,আর স্যারের কথায় মন দেবার চেষ্টা করল…

ফোনের মেসেজটোনটা বাজছে|এই টিউশনের মাঝে কে মেসেজ দেয়! বিরক্তিমুখে ওপেন করে দেখল একটা ফাকা মেসেজ|গাধাটা আবারো শুরু করে দিয়েছে… রাগ ভাঙ্গানোর চেষ্টা|শ্রাবনের সাথে কোন ভালবাসার সম্পর্ক নেই মেঘের|শুধুমাত্র ভাল বন্ধু|সারাদিন একসাথে টিউশন,কলেজ,ল্যাব ক্লাশ,একসাথে বাসায় যাওয়া পর্যন্ত আর রাতভর মেসেজ চালাচালি-এই পর্যন্তই তাদের সম্পর্ক|মাঝে মাঝে ফোনে কথাও হত___ তবুও দুজন দুজনকে বন্ধুর থেকে বেশি ভাবতে পারেনি|যাই হোক মেসেজটার রিপ্লাইনা দিয়েই ফোনটা রেখেদিল|এরপর দুইটা মিসকল আর তারপর আবারো মেসেজ,“চল বৃষ্টিতে ভিজি|” এবার রিপ্লাইদিল মেঘ|“স্যারের কথায় মনদে, আজকের পড়াটা না বুঝলে পরে ঢং করতে পারবি না|” আবার শ্রাবন মেসেজ দিল,“টিউশন শেষে ভিজবি?” রিপ্লাই দিল,“না কলেজ আছে|”
টিউশন শেষ|সবাই কলেজ যাচ্ছে|শ্রাবন মেঘের হাত ধরেআ টকাল|আর বলল,“আজ তোর কলেজ যাওয়া হবেনা|” আর কলেজে যাওয়া হলনা|তারা দুজনেই রাস্তায় হাটছে|সারাদিন আজ একসাথে বৃষ্টিতে ভিজবে|হঠাত শ্রাবন বলে উঠল,“এই দাড়া বর্ষা আসছে|আমরা তিনজনই ভিজব|বর্ষা চলে এল,মুচকি হেসে বলল,“আমিও আজ কলেজে যাবনা|” শ্রাবন সাইকেলে আর তার দুপাশে দুজন হাটছে|মেঘ শ্রাবন আর বর্ষা তিনজনই কাকভেজা হয়ে আছে |তবুও খুব ভাল লাগছে সবারই…বৃষ্টির টিপ টাপ শব্দে তিনজনের নিশব্দতার ছন্দপতন ঘটিয়ে শ্রাবন বলল,”আমি বর্ষাকে ভালবেসে ফেলেছি|আর বর্ষাও আমাকে……|একটু দেখে বলতো আমাদের কেমন মানাবে?” মেঘ মুচকি হেসে বলল,‘‘ভালই মানাবে|”

বৃষ্টির তীব্রতা বেড়েই চলেছে|সাথে মেঘের মনেরও কষ্টের তীব্রতা সমানুপাতিকহারে বাড়ছে|বর্ষা বলল,“বৃষ্টিটা বোধহয়বেড়েছে|চল চল ঐ ঝাপির নিচে দাড়াই|”এই বলে দৌড়ে ঝাপির নিচে চলে গেল সে|মেঘ আর শ্রাবন এখনো বৃষ্টিতে ভিজছে|তাই শ্রাবন ওরহাতটা টেনে ঝাপির নিচে নিয়ে যাচ্ছে|আর ব্যাটারী চালিত পুতুলের মত মেঘ চলছে শ্রাবনের সাথে|

হ্যাচকা টান দিয়ে হাতটা ছাড়িয়ে নিল মেঘ|কারন শ্রাবন তো আজ বাইরেরবৃষ্টির হাত থেকে তাকে বাচাতে পারবে,তবে অন্তরের বৃষ্টি থেকে কে বাঁচাবে ওকে!! তাই আজ মেঘ একাই বৃষ্টি বিলাস করবে|আজ যে তাকে ভিজতেই হবে|চোখের জল লুকাতেই হবে..........

[গল্পের প্রত্যেকটি চরিত্র কাল্পনিক| এটা আমার লেখা প্রথম গল্প| কোনভুল ত্রুটি পাঠক নিজগুনেমার্জনা করবেন]

বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৩

`` ভাগ্য `` [ গল্প ]

`` ভাগ্য `` [ গল্প ]
লেখকঃ তারেক চৌধুরী জয়
১.
অভি,ঢাকা ভার্সিটিতে সি এস ই পড়ুয়া একজন ছাত্র। অত্যন্ত নম্র,ভদ্র আর শান্ত একটি ছেলে। অভির অসংখ্য গুণের মধ্যে একটি অন্যতম গুণ হল সারাদিন তার মুখে হাসি লেগে থাকে আর আশে-পাশের সবাইকে সারাদিন হাসিতে মাতিয়ে রাখে। মন খারাপ করা একজন মানুষ যদি অভির পাশে এসে বসে আর তা যদি অভি বুঝে যায় তাহলে সে ঐ মানুষের মুখে হাসি তো আনবেই সাথে খারাপ মন ও সে ভালো করে দিবে মাঝে মাঝে সবার মনে হয় যে,সৃষ্টিকর্তা অভিকে এক অসাধারণ ক্ষমতা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন যে ক্ষমতার দ্বারা সে তার চারপাশের মানুষকে হাসি-খুশি রাখতে পারে ।
এইরকম একজন ছেলের একজন মনের মানুষ নেই ! তা কি কখনো হয় ? হয়তো হয় না,তাই সৃষ্টিকর্তা এই রকম সুন্দর একটা ছেলের জন্য মিষ্টি একটা মেয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন !
তৃষা ,অত্যন্ত চঞ্চল আর মিষ্টি একটা মেয়ে। অভির বেস্ট ফ্রেন্ড আর মনের মানুষ ! এক ভার্সিটিতে পড়ে দুইজন কিন্তু ডিপার্টমেন্ট আলাদা। ডিপার্টমেন্ট হোক আলাদা,কিন্তু এই দুইজনকে ক্লাস বাদে অন্য কোনসময় ভার্সিটিতে আলাদা পাওয়া যাবে না। দুইটি দেহ কিন্তু একটি আত্মা।
২.
ভার্সিটিতে ওদের ডাকা হত রাজপুত্র আর রাজকন্যা নামে। একজন,আরেকজনকে এত ভালবাসতো যে তা কখনো বলে শেষ করা যাবে না। ওদের ভালবাসা দেখে মনে হয় গ্রিকপুরাণের ভালবাসার দেবী ও হিংসা করতেন। পৃথিবী হয়তো সুন্দর এবং পবিত্র এক ভালবাসার মিলন দেখার অপেক্ষায় ছিল !
সুন্দরভাবে কেটে যাচ্ছে রাজপুত্র আর রাজকন্যার ভালবাসার দিনগুলো। ক্লাস,পড়ালেখা,আড্ডা আর মাঝে মাঝে ঘুরতে যাওয়া সব মিলিয়ে অসাধারণ এক এক দিন। দুইজনের পরিবার ই জানতো তাদের এই ভালবাসার কথা। কোন পরিবারের কোন প্রকার আপত্তি ছিল না এই বিষয়ে। আপত্তি থাকবেই বা কেন? এযে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা !
৩.
পড়ালেখা নিয়ে বেশ চাপে আছে অভি।এই চাপের কারণ তৃষাকে একদম সময় দিতে পারছে না। তার উপর আবার গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছে অভির। অভির প্রায় ই মাথা ব্যথা হয় কিন্তু অভি এসবকে গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু ,গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে শীঘ্রই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। অভি ঠিক করলো,এই সেমিস্টারের পরীক্ষা দিয়ে ই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবে।
অভি যে পড়ালেখা নিয়ে চাপে আছে তা তৃষা নিজেও বুঝতে পারে। আর এই কারণে অভি সময় না দিলেও তৃষা অভিকে কখনো কিছু বলে না। বুদ্ধিমতী মেয়েটার এই ব্যাপারটা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে অভির। বুঝতে পারার গুণটা সব মেয়ের মধ্যে থাকে না আর যাদের মধ্যে থাকে,তারা হল অনেকের মধ্যে অন্যতম।
কিছুদিনের মধ্যেই অভির পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। সবকিছুর মধ্যেও মাথা ব্যথাটা অভির পিছু ছাড়ে না। প্রচন্ড মাথা ব্যথা নিয়ে খুব কষ্ট করে পরীক্ষা দেয় অভি। কিন্তু ,এই ব্যাপারে কখনোই কাউকে কিছু বলে নি,এমনকি তৃষাকেও না। যেদিন পরীক্ষা শেষ হয় সেদিন প্রথমে তৃষাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয় অভি। তারপর অনেক সময় ঘুরে তৃষাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে ডাক্তারের কাছে যায় অভি। অনেক ভোগান্তির পর ডাক্তারের সিরিয়াল পায় অভি। রাত দশটার দিকে ডাক পড়ে অভির।
ডাক্তারের কাছে সব বলার পর ডাক্তার কিছু ঔষুধ,বেশ কিছু টেস্ট দেন অভিকে আর বলে দেন টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে সপ্তাহখানেক পর যোগাযোগ করতে। ডাক্তারের কাছ থেকে বেরিয়ে ঔষুধ কিনে তারপর বাসার দিকে পা বাড়ায় অভি ।
এক সপ্তাহের মধ্যে সবকয়টি টেস্ট করিয়ে ফেলে অভি। এর মধ্যেমাথা ব্যথাটা ক্রমাগত বাড়তেই থাকে। ঠিক এক সপ্তাহ পর সবগুলো রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের কাছে হাজির হয় সে। ডাক্তার ওর কাছ থেকে রিপোর্টগুলো নিয়ে অত্যন্ত মনযোগের সাথে দেখতে থাকেন। সবগুলো রিপোর্ট দেখার পর ডাক্তারের মুখ কালো হয়ে যায় কিন্তু সেদিকে কোন খেয়াল নেই অভির। সে হাসিমুখে ডাক্তারের সামনের চেয়ারে বসে আছে।
৫.
ডাক্তার প্রশ্ন করলেন ...
-আপনার সাথে কি আর কেউ আসেনি ?
-না ডাক্তার,আমি একা ই এসেছি
-কিছু কথা বলার ছিল কিন্তু অন্য কেউ হলে ভালো হতো !
অভির ভেতরটা হঠাত্ করে মোচড় দিয়ে উঠলো
-কি ডাক্তার?খারাপ কিছু?আপনি আমাকেই বলতে পারেন,আমি সবকিছু শোনার জন্য প্রস্তুত আছি
-মিঃ অভি,আসলে কথাগুলো আপনাকে সরাসরি বলা উচিত না কিন্তু তারপরও অন্য কেউ না থাকার কারণে আপনাকে ই কথাগুলো বলতে হচ্ছে !
-ডাক্তার,যা বলবেন তা প্লিজ তাড়াতাড়ি বলে ফেলুন
-মিঃ অভি,আপনার ব্রেন টিউমার হয়েছে এবং বর্তমানে তা খুব ই নাজুক অবস্থায় পৌঁছে গেছে !
ডাক্তারের কথা শোনার পর অভির মাথা ঘুরতে লাগলো , চারপাশ কেমন যেন অন্ধকার লাগছে অভির কাছে
অভি প্রশ্ন করলো ,
-এর কি কোন প্রতিকার নেই?
-একমাত্র অপারেশন এর প্রতিকার কিন্তু আপনার টিউমারের বর্তমানে যা অবস্থা তাতে অপারেশনে আপনার বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ৫% আর এই অপারেশনে প্রচুর টাকা প্রয়োজন !
অভি আর কিছু বললো না !
ডাক্তারের সাথে হ্যান্ডশেক করে বেরিয়ে আসলো চেম্বার থেকে আর রাস্তা ধরে সামনের দিকে হাঁটতে শুরু করলো কিছুক্ষণ হাঁটার পর অভি লেকের পাশে এসে দাঁড়াল !
৬.
অভি অনেকক্ষণ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো লেকের পানির দিকে তারপর হাতে থাকা রিপোর্টগুলোর দিকে একবার তাকালো।লেকের পাশে ঘাসের উপর বসে পড়লো অভি আর ভাবতে লাগলো ...
" যা হবার হয়ে গেছে ! আসলে আমার ভাগ্যে এরকম লেখা ছিল আর ভাগ্যের উপর কারো হাত নেই ! এখন আমাকে শক্ত হতে হবে আর যেখানে বাঁচার সম্ভাবনা ৫% সেখানে অপারেশন করেও কোন লাভ নেই ! সবচেয়ে বড় কথা আমার মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির উপর অযথা চাপ সৃষ্টি করে লাভ নেই !
এখন আমাকে খেয়াল রাখতে হবে আমার পরিবার যেন কিছু জানতে না পারে আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তৃষাকে দূরে সরিয়ে দিতে হবে ! হোক সেটা অভিনয়ের মাধ্যমে ! আমি জানি আমি অল্প কয়েকদিনের অতিথি সুতরাং এই অল্প কয়েকদিনের জন্য ঐ মেয়েটাকে জীবনের সাথে জড়িয়ে কষ্ট দেয়ার কোন মানে হয় না ! ভবিষ্যতে ও আমার চেয়ে ভালো কাউকে পাবে ! "
অভি উঠে দাঁড়াল,ওর চোখ জলে ভরে উঠেছে ! হাতে থাকা রিপোর্টগুলো ছিঁড়ে বাতাসে ছড়িয়ে দিল !
অভি ঘুরে সামনের দিকে হাঁটতে শুরু করলো ! এখন ওর অনেক কাজ কিন্তু সময় অনেক কম , অনেক দ্রুততার সাথে কাজ করতে হবে !
হেঁটে চলছে অভি কিন্তু এই হেঁটে চলা বেশি দিনের জন্য নয় .....
( সমাপ্ত )

মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৩

মেঘ বৃষ্টি

মেঘ বৃষ্টি লিখেছেনঃ-মুহাম্মদ ইফাজ হাসবুল্লাহ

মোতাহের সাহেব বিছানায় আধশোয়া হয়ে আছেন, মুখে রাজ্যের মেঘ জমে আছে, যেকোন মুহুর্তেই বজ্রপাতসহ বর্ষন শুরু হতে পারে। ঘুম থেকে উঠেইতার চা চাই, একটু দেরি হলেই চিতকার চেচামেচি শুরু করে দেন। সকালে তার মেজাজ এম্নিতেই একটু চড়া থাকে, তাই মনিরা আগেভাগেই চা রেডি করে রাখে। কিন্তু আজ অনেক্ষন হয়ে গেল চা এর নাম গন্ধ ও নেই। মোতাহের সাহেব রাগেফুসছেন, চিত্কার দেয়ার জন্য মুখ খুলেছেন সবে ঠিক তখনি মেঘ এর প্রবেশ।
.
মেঘ হল মোতাহের সাহেবের একমাত্র ছেলে। খুবই শান্ত ভদ্র ছেলে। এবার ইন্জিনিয়ারিং পাশ করে বের হল, বর্তমানে বেকার।
.
বাবা, তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
.
কি বলবি দ্রুত বল, তারপর তোর মাকে বলচা দিতে।
.
আমি বিয়ে করব।
.
কী করবি?
.
I want to marry, my dear father.
.
মোতাহের সাহেব ঠিক প্রস্তুত ছিলেন না , থতমত খেয়ে গেলেন,মেয়ে কি করে?
.
মেয়ে না বাবা ছেলে।
.
মানে? বাপ আমার তুই কি পাগল হয়ে গেলি ?
.
No dad, I am absolutely alright
.
মোতাহের সাহেব বুক চেপে ধরে ককাতে লাগলেন,একি বলছিস তুই, আহ! আহ!
.
বাবা, তুমি আবার ডান দিকে হাত দিয়েছ । তোমাকে না বলেছি হার্ট বামদিকে থাকে। ঠিক করে অভিনয় করতেও পারনা!
.
.
মোতাহের সাহেব প্রতিবারের মত এবারোধরা পড়ে গেলেন, তার ছেলের সাথে কিছুতেই পেরে উঠেন না,মেঘ , তুই আর যাই করিস একাজ করিস না বাবা। সমাজে আমি মুখ দেখাতে পারবনা।
ঠিক সেই মুহুর্তেই মুনিরা চা নিয়ে ঢুকলেন । মাকে দেখেই মেঘ রুম থেকে বেরিয়ে গেল। মোতাহের সাহেব সেদিকেহতভম্ব হয়ে চেয়ে রইলেন।
.
চা নাও, কি ব্যাপার আজ একেবারে চুপচাপ। কোনো সাড়াশব্দ নেই।
তোমার ছেলে কি বলেছে শুনেছ, সে নাকি বিয়ে করবে, তাও একটা ছেলেকে।
সেকি, এগুলো কি বলছে! পাগল হয়ে গেল নাকি? বিলাপ শুরু করে দিল মুনিরা।
আরে রাখ তো এসব। ছেলের বিয়ের বয়স হয়েছে, এমন পাগলামি করবেই।
কিন্তু তাই বলে একটা ছেলে কে কেন?
নাহ, ওকে দ্রুত বিয়ে দিতে হবে।
এই শুনছ , আমাদের পাশের বাসায় বৃষ্টি নামের একটা মিষ্টি মেয়ে আছে, মেঘ এর জন্যে কথা বলে দেখব নাকি?
তুমি যা করার কর, শুধু একটা মেয়ে হলেই চলবে। একে বিয়ে না দিয়ে আর শান্তি পাচ্ছিনা।
.
***
.
তিন মাস পর, মেঘ বৃষ্টির বিয়ে আজ। আকাশে মেঘের ঘনঘটা, মুষুলধারে বৃষ্টি হচ্ছে । দুই জনই চরম খুশি। দীর্ঘ ৫ বছরের প্রণয়ের মধুর সমাপ্তি ঘটল। মেঘ তার মায়ের কাছে কৃতজ্ঞ । মাকে সে আগেই বৃষ্টির কথা বলেছিল। কিন্তু মাঝে বেরসিক বাবা বেকে বসলেন। তাই এই ছোট অভিনয়্টুকু করতে হল।
.
.
.
রাত ৩ টা। হঠাত মোতাহের সাহেবের ঘুমভেঙে গেল। তুমুল বর্ষন হচ্ছে। এমনই এক দিনে মুনিরা তার ঘরে এসেছিল। সেদিন রাতেও বৃষ্টি হয়েছিল, তারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল। ভাবিতে ভাবতেই তিনি ছাদে চলে গেলেন।
হঠাত খেয়াল করলেন এক জোড়া কপোত কপোতি বৃষ্টিতে ভিজছে। আকাশের মেঘ গর্জে উঠ্ল, সেই আলোয় দেখতে পেলেন মেঘ ও বৃষ্টিকে।
আজ নিজেকে তার সার্থক মনে হচ্ছে। দুর হতে তিনি ভবিষ্যত প্রজন্মকে আশির্বাদ করে গেলেন।

(গল্প ভালো লাগলে কমেন্টস করে লেখকদের আরো গল্প দিতে উৎসাহিত করুন)
-কী? কেমন আছ তুমি?
-ভাল-ই।
-মন খারাপ নাকি?
-নাহ।
-সকালে খাও নাই?
-হুম ম ম ম।
-হুম ম ম ম কি?
-খায়ছি।
-তা হুম ম ম ম করার কী আছে?
-(দীর্ঘশ্বাস, পরে নিঃশ্চুপ)
-কী হল? কথা বলো না কেন?
-বলতেছি তো।
-কই কথা বলো? আমার সাথে নাকি অন্য কারো সাথে?
-তোমার।
-আমি কী তাহলে কালা নাকি তুমি বোবা দের ভাষায় কথা বল?
-না। কথায় বলতেছি।
-আচ্ছা বাদ দিলাম। এখন বল কী সিদ্ধান্ত নিলা?
-কী বলব?
-কী বলবা মানে? সিদ্ধান্ত কী?
- তুমি যা বলতেছ তা হয় না।
-কেন হয় না?আমি কী দেখতে খারাপ?
-না। তা না। আসলে তুমি যা, আমি তার সমান নয়।
-তোমার সমান না হলে ও চলবে। শুধু সমান ভাবে ভালোবেসো।
-আমি মনে হয় পারব না।
-তোমাকে পারতে হবে না। তুমি শুধু সারা জীবন পাশে থেকো। যখন আমি ক্লান্ত হব তখন তোমার বুকে আমার মাথা রাখার ঠাঁই দিয়ো।
-আমি কী পারব?
-অবশ্যই পারবা। এবার বল।
-কী বলব?
-গাধা! এইটা ও বলে দিতে হবে?
-হুম ম ম ভালোবাসি।
-কী, ভালোবাসি? বল আই লাভ ইউ।
-আই লাভ ইউ।
-আই লাভ ইউ টু।

এভাবেই শুরু হয় সমাজের চোখে অসম এক ভালোবাসার গল্প।যেখানে কিছু পাওয়ার চেয়ে এগিয়ে যাওয়ার যুদ্ধ বেশি।
 

লিখাঃ Duronto Shahin
মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ড কে কল দিয়ে বলছে তার সাথে রেস্টুরেন্ট এ দেখা করতে । বয়ফ্রেন্ড হ্যা বইল্লা দিল যে সে আসিবে।
মেয়ে আগে রেস্টুরেন্ট এ পৌছে গেছে , বয়ফ্রেন্ড কে কল দিচ্ছে বলছে এখনো আসনি, আর কত দেরি??
বয়ফ্রেন্ড- আসতেছি আর মাত্র ৫ মিনিট।(কিন্ত এখনো সে রেডি হয় নাই)
১৫ মিনিট পর,
মেয়ে- তোমার ৫ মিনিট হয় নাই। আজ আর আসতে হবে না।

ছেলে- আরে রাস্তায়, হ্যালো, হ্যালো (লাইন কেটে দিছে। ছেলেটা এখন বের হইছে)
১ ঘন্টা পর, ছেলে রেস্টুরেন্ট এ পৌছালো
ছেলে- জান ও জান আমার মন্টুস পাখি একবার আমার দিকে তাকাও।

মেয়ে- তুমি আমারে পাইছ কি আমি তোমার জন্য সবসময় অপেক্ষা করব আর তুমি দেরিতে এসে একটা একটা করে এক্সকিউজ দেখাবা?

ছেলে- জান আমি তো অনেক আগেই বের হইছি কিন্তু রাস্তায় জ্যাম ছিল। বুঝনা এইডা তো ঢাকার রাস্তা তাই না। গ্রামের রাস্তা অইলে তো আমি সুপার ম্যান অইয়্যা তোমার কাছে আইস্যা পরতাম।

মেয়ে- আমি আগেই জানতাম তুমি আইস্যা এই টাইপের হুতুবুতু করবা। তোমার এই গুলা হুতুবুতু আর ভালো লাগে না। তোমার এই জ্যাম রে কোনো দোকানে নিয়া বেইচ্চা দাও। নাম দিবা গাধা জ্যাম।

ছেলে- আমি হুতুবুতু করি তুমি কি কর? হুম তুমি কি কর? দুইদিন আগে আইস্যা পক পক করবা আমি যখন তোমার জন্য দিনের সূর্যের আলোয় খারাইয়্যা খারাইয়্যা সুন্দর চেহেরা ডা কালা বানাইয়্যা ফালাইছি ফর্সা হয়ার ক্রিম কি তুমি কিন্না দিবা??
তখন তো একটা কাজই পারো ৩২ টা দাত বার কইরা "ও সোনা তোমাকে দেখতে তো আজ হেন্ডসাম লাগছে।" হাহ।

মেয়ে- কি আমি পক পক করি। ৩২ টা দাত বের করে হাসি।তোমারে কালো বানিয়ে ফেলছি। ঠিক আছে আমার সাথে আর কথা বলতে হবে না দেখাও করতে হবে না।তুমি থাকো তোমার সুন্দর চেহেরা নিয়া।।

ছেলে- দেখা না করলে কি, (চুপ করে গেল কেননা মেয়েটাকে একদিনের জন্য না দেখে থাকতে পারে না)

মেয়ে- কি বলো, বলো না কেন??

দুইজন দুইজনের দিকে তাকিয়ে হেসে দিল,
মেয়ে- Sorry জান। আর তোমাকে রৌদ্দে দাড় করিয়ে রাখব না। একটু পর মার্কেটে গিয়ে তোমাকে "ফেয়ার এন্ড হেন্ডসাম" কিন্না দিব।

ছেলে- আমিও আর লেইট করব না আমার মন্টুস পাখি।Sorry !!
Sorry !! Sorry !!

মেয়ে- হইছে আর ডং করেতে হবে না।

ছেলে- কি আমি ডং করি?

*এইভাবেই চলে তাদের কিছু মিষ্টি জগড়া আর কিছু ভালোবাসা। —

লিখাঃ মাসুদ রানা (এডমিন)